দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবচেয়ে বড় মানুষ ও সবচেয়ে ছোট মানুষের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা আমরা আগেই অবলোকন করেছি। তবে এবার একটু ব্যতিক্রমি ঘটনাটি দুই ঘোড়ার। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘদেহী ও খাটো ঘোড়া মুখোমুখি হয়েছে!
খুড়ওয়ালা স্তন্যপায়ী প্রাণী হলো ঘোড়া। আজকের কথা নয় সুদীর্ঘ ৪৫ হতে ৫৫ লক্ষ বছর ধরে পৃথিবীতে প্রাণীটির অস্তিত্ত্ব বিদ্যমান। খ্রিষ্টপূর্ব ৪ হাজার হতে মানুষ ঘোড়াকে ঘরে এনে পোষা শুরু করে। যদিও এদের কিছু পোষ্য দল বুনো ঘোড়ার মতো খোলা জায়গায় বা জঙ্গলে বসবাস করে। ঘোড়া বা যাকে অারেক ভাষায় ঘোটক বলা হয়, সেই দ্রুতগামী চতুষ্পদ জন্তু যার পিঠে চড়া যায়। দ্রুতগামী বলে এর নাম তুরগ, তুরঙ্গমও বলা হয়। বিশ্বের নানা দেশে উঁচু এবং বড় ঘোড়ার বেশ সমাদর রয়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অনার দিতে বড় বড় ঘোড়াকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি ঘোড়ার বিশেষত্ব নিয়ে গিনেস রেকর্ডের ব্যবস্থাও রয়েছে। গিনেস বুক অনুযায়ী সবথেকে দীর্ঘদেহী ঘোড়ার নাম হলো ‘বিগ জেক’ এবং সবচেয়ে খাটো ঘোড়ার নাম হলো ‘থুমবেলিনা’।
দীর্ঘদেহী বিগ জেকের উচ্চতা হলো ২১০ সেন্টিমিটার। অথচ থুমবেলিনার উচ্চতা মাত্র ১৭.৫ সেন্টিমিটার! সম্প্রতি এই দুই ঘোড়াকে মুখোমুখি করা হয়েছিলো। তাদের পাশাপাশি রেখে যখন ছবি তোলা হয় তখন দারুণ এক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে জিলবার্ট পরিবারে বেড়ে উঠেছে এই ঘোড়া বিগ জেক। বিগ জেকের বয়স ১৭ বছর। জন্মের সময় থেকেই বিগ জেক বেশ বড়সড় হয়েছিল। জন্মের সময় তার ওজন হয়েছিল ২৪০ পাউন্ড! এই ঘোড়ার যখন বয়স ৭/৮ বছর তখনই মনে হচ্ছিল এই ঘোড়াটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘোড়ার রেকর্ড গড়বে। পরে গিনেস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পর সে স্বীকৃতিও পাওয়া যায়।
অপরদিকে গাড় বাদামী রঙের থুমবেলিনার জন্ম ২০০২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির একটি ঘোড়ার খামারে। জন্মের সময় সে এতোটাই ছোট হয়েছিল যে, অনেকেই এটিকে ছাগলের বাচ্চা মনে করে ভুল করে আসছিলো। জন্মের সময় এই ঘোড়াটি মাত্র ৬ ইঞ্চি ছিল। এই ঘোড়াটির ছোট আকার নিয়ে মালিক বেশ চিন্তিত থাকতেন। তবে রেকর্ড গড়ার পর এখন তিনি অনেক খুশি।
দেখুন ভিডিও