দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সৌদি আরবে যৌন নিপীড়নে ৫ বছরের কারাদণ্ডের আইন করা হচ্ছে। ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, সৌদি আরবে ৭৮ শতাংশ নারীই যৌন হয়রানির শিকার। এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে সৌদি সরকার এই পদক্ষেপ নিলো।
যে কোনো যৌন নিপীড়নের ঘটনায় সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। ২০১৪ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, সৌদি আরবে ৭৮ শতাংশ নারীই যৌন হয়রানির শিকার। পরিস্থিতির পরিবর্তন আনতে সৌদি সরকার এমন একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করলো।
দেশটির শুরা কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামের বিধিবিধানে থাকা ব্যক্তির গোপনীয়তা, মর্যাদা এবং ব্যক্তিস্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ও ভুক্তভোগীকে সুরক্ষা দেওয়া এই আইনের মূল লক্ষ্য।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নের এই সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে। দেশটির মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া খসড়া আইনটিতে যৌন নিপীড়নের সর্বোচ্চ সাজা রাখা হয়েছে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং ৩ লাখ রিয়াল পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
সৌদি বাদশা এই বিষয়ে ডিক্রি জারি করলেই এটি খসড়া আইনে পরিণত হবে। সৌদিতে প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের চলমান সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির শুরা কাউন্সিলের সদস্য লতিফা আল-শালান বলেছেন, সৌদি আরবের ইতিহাসে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন। যে কারণে আইনে এতোদিন যে বিশাল ফাঁক-ফোকর ছিল, সেটি পূরণ হলো। শুরার আরেক সদস্য লিনা আল-মায়েনা বলেছেন, মৌখিক এবং যন্ত্রের মাধ্যমে হয়রানি-উভয় ক্ষেত্রেই এই আইনটি প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ৭ জন নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেফতারের ঘটনায় সৌদি যুবরাজের কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। সে সময় সৌদির সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, বিদেশি অপশক্তির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগেই ওই নারীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।