দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দামের কথা শুনলে পিলে চমকে যায়। একটি গাড়ির মূল্য তাই বলে এতো হতে পারে? আপনি জানেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়িটির দাম কতো? আজ জেনে নিন।
যে গাড়িটির ছবি দেখছেন সেটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি! এর দাম কতো জানেন? ভিন্টেজ কারের শখ রয়েছে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। দামি গাড়ি রাখার শখ রয়েছে তেমনই একজন হলেন ডেভিড ম্যাকনিল। গাড়ির ফ্লোর ম্যাট ও বিভিন্ন অ্যাকসেসরিজ প্রস্তুতকারক সংস্থা ওয়েদারটেক-এর সিইও হলেন এই ডেভিড। এই ডেভিডই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির মালিক। সেই সঙ্গে তিনি ‘জিটিও ক্লাব’-এর তালিকাতেও ঢুকে গিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, এই এলিট ক্লাবে রয়েছেন বিখ্যাত মার্কিন শিল্পপতি রাল্ফ লরেন ও ওয়ালমার্টের কর্ণধার রব ওয়ালটনের মতো ব্যক্তিত্ব। ম্যাকনিলের সংগ্রহে রয়েছে ১৯৬০ ফেরারি ২৫০ জিটি বার্লিনেট্টা এসডব্লিউবি, ২৫০ জিটি লুসো, ২৭৫ জিবিটি, ৩৬৫ জিবিটি, এফ ৪০ ও এফ ৫০-র মতো বহু দামি দামি গাড়ি। ১৯৬৩ ফেরারি ২৫০ জিটিও তার সংগ্রহের অন্যতম সংযোজন।
সম্প্রতি নিলামে উঠেছিল ১৯৬৩ ফেরারি ২৫০ জিটিও গাড়ি। গাড়িটির চেসিস নম্বর ৪১৫৩ জিটি। নিলামে এই গাড়িটির দাম উঠেছে ৭০ মিলিয়ন ডলার।
এই দামের কারণেই ১৯৬৩ ফেরারি ২৫০ জিটিও বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ির তকমাও পেয়েছে। ২০১৩ এই মডেলের ক্লাসিক গাড়ির সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নিলামে নয়, ব্যক্তিগতভাবেই সেই গাড়িটি কেনা হয়। তবে এ বছর নিলামে ওঠা দামে ফেরারি ২৫০ জিটিও সেই রেকর্ডও ভেঙে দিয়েছে।
ফেরারি ২৫০ জিটিও ব্র্যান্ডটি গাড়িপ্রেমীদের কাছে #22 ও #46 নামে অধিক পরিচিত। ফেরারি ঘরানার মধ্যে ৪১৫৩ জিটি চেসিস নম্বরকে সবচেয়ে আইকনিক বলে মানা হয়ে থাকে। এই মহামূল্যাবান গাড়িকে ফেরারি ২৫০ জিটিও ত্যুর দ্য ফ্রাঁ-ও বলা হয়। কারণ হলো ১৯৬৪-এ সিলভার রঙের এই মডেলটি ত্যুর দ্য ফ্রাঁ চ্যাম্পিয়ন হয়। ১৯৬৩-তে লে মান্স প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান অর্জন করে। ১৯৬৫-তে অ্যাঙ্গলোয়ান গ্রাঁ প্রি-তেও অংশ নিয়েছিল এই মডেলের গাড়ি।
গাড়িটির সর্বোচ্চ গতি প্রতি ঘণ্টা ২৮০ কিলোমিটার। ১৯৬৩ সালে যখন প্রথম গাড়িটি আমেরিকার বাজারে আসে, তখন এর দাম ছিল মাত্র ১৮ হাজার ডলার!