দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আধুনিক প্রযুক্তি বিরাজ করছে সর্বত্র। এখন থেকে ট্রেনের মধ্যে যন্ত্রের মাধ্যমে বেছে নেওয়া যাবে পছন্দের খাবার! এই নতুন প্রযুক্তি স্থাপন করেছে ভারতীয় রেলওয়ে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, সম্প্রতি ভারতীয় রেলে লাগেজ বহনের নির্দিষ্ট নিয়ম এসেছে। যাত্রীরা ইচ্ছে করলেই পরিমাণের বেশি ওজনের লাগেজ বহন করতে পারবে না। খাবার নিয়েও চলছিল অসন্তুষ্টি। এবার সেই অসন্তুষ্টি দূর করতে ভারতীয়রা রেলে আরও পরিবর্তন নিয়ে এলো। খাবারের জন্য ট্রেনে যুক্ত হতে চলেছে ‘অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন’।
শুধু খাবারের পরিমাণ নয়, লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে গুণগত মানেরও। ভালো মান ও লাগেজের নতুন নিয়মের মধ্যদিয়ে রেল যাত্রীদের সন্তুষ্ট করতে কিছুদিন পূর্বে এই পরিবর্তন এনেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। সেইসব সুবিধার সঙ্গে ট্রেনে ‘অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন’ (এভিএম) চালু করতে চলেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ।
যে কারণে রেল যাত্রীরা খুব সহজে নিজেরাই নিজেদের পছন্দের খাবার ট্রেনে সফরের সময় কিনতে পারবেন। আর তখন খাবারে অতিরিক্ত টাকা খরচের মতো অভিযোগও পেতে হবে না রেলওয় কর্তৃপক্ষকে।
দেশটির রেলের পক্ষ হতে জানানো হয়, আপাতত খাবার নয়, এই ‘অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন’কে শুধুমাত্র চা, কফি ও স্ন্যাক্সেই সীমাবদ্ধ রাখা হবে। পরবর্তীতে ধাপে ধাপে অন্যান্য খাবারের বিক্রিও এভিএম হতে চালু করা হবে। সাধারণ যেমনটি থাকে বিমানবন্দরে। নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাবার বেছে নিয়ে মেশিনে টাকা ঢোকালেই বেরিয়ে আসে খাবারটি।
ভারতীয় রেলের এই ‘অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন’-এ থাকছে একটু ভিন্নতা। বিদেশী খাবার নয়, অঞ্চল অনুযায়ী এতে থাকবে ভারতীয় খাবার।
বিমানবন্দর ছাড়াও ইতিমধ্যে ভারতের বিভিন্ন মেট্রো এবং রেলওয়ে স্টেশনে এই ‘অটোমেটিক ভেন্ডিং মেশিন’র সঙ্গে পরিচিত সাধারণ মানুষ। যেখানে এভিএমের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে নানারকম বিক্রয়যোগ্য পণ্যগুলো সাজানো থাকে। নম্বর মিলিয়ে টাকা মেশিনের নির্দিষ্ট স্থানে ঢুকিয়ে দিলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই পণ্যটি ক্রেতার হাতে চলে আসে।
অবশ্য চলন্ত ট্রেনের মধ্যে এই এভিএম যন্ত্রের ব্যবহার ইতিপূর্বে হয়নি। ট্রেনের মধ্যে মেশিনের গোটা কর্মকাণ্ড পুরোপুরি স্ক্রিন টাচ ট্যাবভিত্তিক করা হবে। ট্যাবে পছন্দের খাদ্যপণ্যটিতে ‘ক্লিক’ করলেই তা চলে আসবে যাত্রীদের হাতের মুঠোয়। সাধারণ যাত্রীদের নগদ টাকাতেই এগুলোর দাম মেটাতে হবে। গোটা বিষয়টি পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে একজনকে এর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হবে। চা, কফি বা স্ন্যাক্স কিনে দাম মিটিয়ে দিতে হবে সেই ইনচার্জকে।
দক্ষিণ ভারতের এক্সপ্রেস ট্রেনে পরীক্ষামূলকভাবে এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু করছে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তাতে সাফল্য পাওয়া গেলে বিভিন্ন পর্যায়ে অন্যান্য ট্রেনেও এই পদ্ধতি কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে।