দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এসইএ-এমই-ডব্লিইই-৪ নামের সাবমেরিন ক্যাবলটির মেরামত কাজ করার জন্য আগামী ২৫ থেকে ৩০ জুলাই ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা কমে যেতে পারে। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ এই সাবমেরিন ক্যাবলটির সাথে যুক্ত হয়েছে।
গত রোববার ২২ জুলাই বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আর বলেন “এসইএ-এমই-ডব্লিইই-৪ নামের সাবমেরিন ক্যাবলটির মেরামত কাজ করা হবে। তবে আন্তর্জাতিক স্থল ক্যাবল (আইটিসি) এবং দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিইই-৫ এর উপস্থিতিতে ইন্টারনেটের গতি যেন ব্যাপকহারে না হ্রাস পায় সে দিকে যথেষ্ট নজর রাখা হবে।”
যে ক্যাবলটি মেরামত করা হবে সেই ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ২৫০ জিবিপিএস গতি সম্পন্ন ব্যান্ডউইথ পেয়ে থাকে। বাংলাদেশ প্রথম ২০০৫ সালে সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিইই-৪ এর সাথে যুক্ত হয়ে ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করে। ৩৫.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয়ে বাংলাদেশ প্রথম এই সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে যুক্ত হয়। এর আগে ২০১৭ সালে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তিন দিন এই ক্যাবলটি বন্ধ রেখে মেরামত করা হয়েছিল।
ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি করতে পরবর্তীতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এসইএ-এমই-ডব্লিইই-৫ এর অবতরণ স্টেশন নির্মাণ করে। এই দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বাংলাদেশ ১৫০০ জিবিপিএস গতি সম্পন্ন ব্যান্ডউইথ পায়।