দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নি:সঙ্গ মানুষ পৃথিবীতে অনেক রয়েছে। তবে আজ যে নি:সঙ্গ মানুষের গল্প রয়েছে সেটি একেবারেই ব্যতিক্রমি একটি গল্প! আজ রয়েছে এক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নি:সঙ্গ এক মানুষের গল্প!
বিবিসিতে এমন একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে। মূলত বিরল এক ভিডিও ফুটেজ, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একজন মানুষকে দেখা যাচ্ছে, যেখানে বলা হচ্ছে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে নি:সঙ্গ মানুষ। দুর হতে তোলা সেই অস্পষ্ট ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে যে, একজন পুরুষ কুড়াল দিয়ে গাছ কাটছেন। তার শরীরের কাপড়-চোপড় নাই বললেই চলে।
ব্রাজিলের অ্যামাজনে ২২ বছর ধরে বসবাস করছেন ৫০ বছর বয়সী এই মানুষটি! তার গোত্রের বাকি সবাই খুন হওয়ার পর থেকেই তার একাকী জীবনের শুরু হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়।
জানা গেছে, ব্রাজিল সরকারের ইনডেজিনাস এজেন্সি ফুনাই এই ব্যক্তির ভিডিওটি ধারণ করেছে। ভিডিওটি বিশ্বের নানা স্থানে শেয়ার করা হয়েছে। তবে এখানে আরও অনেকগুলো বিষয় রয়েছে যেগুলো আসলে খালি চোখে কারও কাছে ধরা পড়ছে না।
ব্রাজিল সরকারের ইনডেজিনাস এজেন্সি ফুনাই বলছে যে, ১৯৯৬ সাল থেকে তাকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর পিছনে নাকি বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত: নিশ্চিত হওয়া যে সে বেঁচে রয়েছে, দ্বিতীয়ত: যেসব এলাকায় ওই ব্যক্তি ঘোরাফেরা করে সেই স্থানগুলো চিহ্নিত করা।
ব্রাজিলের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি আদিবাসীদের জন্য ভূমির কিংবা জমির অধিকার রয়েছে। ওই ব্যক্তির রনডোনিয়ার উত্তর-পশ্চিমের দিকে চলাচল রয়েছে।
২০০৫ সালে সে এই ঘরটি বানায়, আবার সেটি ছেড়ে চলে যায়। তাই ওই এলাকাকে সংরক্ষিত করার জন্য সরকারের নতুন করে আদেশ দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, সে জন্যই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
এই ব্যক্তি সম্পর্কে নানা ধরণের গবেষণা প্রতিবেদন রয়েছে, সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়েছে তবে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি। বলা হচ্ছে যে, এই মানুষটার সঙ্গে বাইরে হতে কখনও কেও কোনো রকম যোগাযোগ করতে পারেনি বা কথাও বলেনি।
তার গোষ্ঠীর নামও কেও জানে না এবং তারা কোন ভাষায় কথা বলতো তাও কেও জানে না। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে কৃষকরা তাদের উপর হামলা করলে এই ব্যক্তি ছাড়া তার গোত্রের সকলেই মারা যায়। তারপর অর্থাৎ ১৯৯৬ সাল থেকেই এই ব্যক্তি একাকি জীবন যাপন শুরু করেন।
দেখুন ভিডিওটি
https://www.youtube.com/watch?v=v-rrJxBF280