দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই চাই, কেউ যেন আমাকে খারাপ না ভাবে বা আমি যেন কারোর কাছে বিরক্তিকর কোন ব্যক্তি না হই। তবে আমাদের কিছু কার্যকলাপ নিজের অজান্তেই আমাদেরকে অন্যদের কাছে বিরক্তিকর ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত করে তোলে। আজ আমরা সেই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানবো।
১। অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে না মাথা ঘামানোঃ
কিছু মানুষ অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মাথা ঘামাতে বেশি পছন্দ করেন। তারা হয়ত নিজেও জানেন না এই কাজটি অন্যদের কাছে তাদেরকে কতটা বিরক্তিকর লাগে। তাই অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয়ে বেশি মাথা না ঘামানোই উচিৎ। তবে সেই ব্যক্তি যদি তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করতে চাই তবে আলোচনা করা যেতে পারে। তবে বেশি জানতে চেষ্টা করবেন না, সে আপনাকে যতটুকু জানাতে চাই সেই টুকুই জানুন।
২। নিজেকে অন্যদের থেকে একটু ফাকা রাখুনঃ
অনেক সময় দেখা যাই বাস বা কোন জনবহুল স্থানে কারণ ছাড়ায় একজন অন্যজনের গা ঘেষে দাড়িয়ে থাকে। এর ফলে অন্যজন আপনার প্রতি বিরিক্তবোধ করতে পারে। তাই সুযোগ থাকলে অন্যদের থেকে নিজেকে একটু ফাকা রাখার চেষ্টা করুন। এতে আপনার নিজে ব্যক্তিত্ববোধ বজায় থাকবে।
৩। অন্যের ভুলে নিজেকে জ্ঞানী জাহির না করাঃ
কোন একজন ব্যক্তি হয়তো কোন একটি ভুল করেছে বা কোন বিপদে পড়েছে, তখন কিছু ব্যক্তি নিজেকে জ্ঞানী জাহির করতে তাকে বলে, “ আমি জানতাম এমনটি ঘটবে / শিখিয়ে দেওয়ার পরও কিভাবে এমন ভুল কর/ আমার কথা না শুনলে এমনই হয় ইত্যাদি” এই জাতীয় কথাগুলো সেই বিপদগ্রস্থ বা ভুল করা ব্যক্তিটির কাছে আপনাকে বিরক্তিকর ব্যক্তি করে তুলবে। তাই এভাবে না বলে তাকে আবার ভালভাবে পরামর্শ দিন বা বিপদ থেকে উদ্ধার করার চেষ্টা করুন।
৪। অনর্থক কথা বলা বা আচরণ না করাঃ
কোন গুরুত্বপূর্ণ কথা বা কাজ করার সময় অনর্থক কথা বলা বা অপ্রয়োজনীয় কাজ করলে যে কেউ বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। কেউ হয়ত গুরুত্বপূর্ণ কোন সংবাদ শুনছে আর আপনি সেই সময় অপ্রয়োজনীয় কথা বলা শুরু করলেন। তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে একটু ভেবে দেখেন। তাই এই কাজগুলো করা থেকে বিরত থাকুন।
০৫. অন্যের কাজে উকি মারা বন্ধ করুনঃ
কারো কাজের মধ্যে অতিরিক্ত কৌতূহলবশত উঁকি মেরে দেখতে যাবেন না। এতে তার মনযোগ নষ্ট হয়ে যায় এবং আপনার প্রতি অপ্রকাশিত বিরক্তবোধ করে। কারণ যার কাজ এভাবে দেখতে যাবেন তার অনুভূতি যে কেমন হয় তা হয়তো সে ছাড়া অন্য কেউ ভালো বলতে পারবেন বলে মনে হয়না। সুতরাং