দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প বলেছেন, গণমাধ্যম কখনও জনগণের শত্রু নয়। ইভাঙ্কা ট্রাম্প মূলত তাঁর ঠিক উল্টো মন্তব্য করে বিশ্বব্যাপি প্রশংসিত হয়েছেন।
মার্কিন নির্বাচনের প্রচারণা হতে শুরু করে এই পর্যন্ত বিতর্কিত মন্তব্য করে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বাবার ঠিক উল্টো পথে হাঁটছেন ট্রাম্পকন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, সাংবাদিকরা জনগণের শত্রু নয়।
সেইসঙ্গে নিজেকে অভিবাসী পারিবারগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করার সরকারি নীতির কঠোর বিরোধী বলেও দাবি করেছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে তার ফ্যাশন ব্র্যান্ড বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম কন্যা ও জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা জনসম্মুখে বলেছেন- ‘অভিবাসন সংকট নিরসনের ব্যাপারে বাবা যেভাবে চিন্তা করছেন সে ক্ষেত্রে আমার নিজের দৃষ্টিভঙ্গি একেবারেই ভিন্ন।’ অভিবাসন সংকট সম্পর্কে ইভাঙ্কা ট্রাম্প তার উদ্বেগের কথাও ব্যক্ত করেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করে নিউজ ওয়েবসাইট এক্সিওস আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ৩৬ বছর বয়সী ইভাঙ্কা ট্রাম্প আরও বলেন- ‘এই নীতির কারণে হাজার হাজার শিশু তাদের অভিবাসী বাবা-মা’র কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। আমি পরিবার, বাব-মা ও সন্তানদের বিচ্ছিন্নতা করার কঠোর বিরোধী। সুতরাং আমার অবস্থান বিচ্ছিন্নতা বিরোধী মনোভাবেরই পক্ষে।’
গণমাধ্যম জনগণের শত্রু এই ব্যাপারে ইভাঙ্কার মনোভাব জানতে চাইলে তিনি বলেন- ‘না, আমি এমনটি কখনও মনে করি না।’
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হতেই গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সিএনএন, নিউইয়র্ক টাইমস, সিবিএস নিউজের মতো সংবাদ মাধ্যমকেও প্রায়ই তিনি ‘ফেক নিউজ’ বলে অভিহিত করে থাকেন।