দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোন চামচ দিয়ে খাবার খাওয়ার শেষে যদি সেই চামচটিও খেয়ে ফেলা যায় তাহলে বিষয়টি কেমন হবে? কখনো ভেবেছেন কি চামচ খাওয়া যায়? অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, এমনি একটি চামচ তৈরি করা হয়েছে যা কিনা খাওয়ার শেষে খেয়ে ফেলা যায়।
ভারতের গুজরাটে একটি কোম্পানি হঠাৎ করে বাজারজাত শুরু করে এই খাওয়ার যোগ্য চামচের। এই ধরণের চামচের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ত্রিশুলা’। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে এবং আকর্ষনীয় রং ও খাওয়ার যোগ্য হওয়ায় বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট সহ বাসা বাড়িতেও এর ব্যাপক চাহিদা বেড়ে গেছে। ২৪ বছর বয়সী উদ্যোক্তা ক্রুভিল প্যাটেল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় খাওয়া যায় এমন এক ধরনের চামচের কথা জানতে পারেন।
তিনি এমন ধরনের খাওয়ার যোগ্য চামচ তৈরি নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। পাল্টে যায় তার ক্যারিয়ারের গতিপথ। এর জন্য পরিবার থেকেও তাকে নানা ধরনের কথা শুনতে হয়েছে। তিনি কয়েক মাস গবেষণার পরই খাওয়ার যোগ্য চামচ তৈরি করতে সফল হন। তিনি ময়দার সঙ্গে প্রাকৃতিক কিছু উপাদান মিশিয়ে তৈরি করেন এই চামচ।
এক্ষেত্রে ওই মিশ্রণকে খুব উচ্চ তাপমাত্রায় ঝলসানো হয়। প্যাটেল দাবি করেন, এই চামচগুলো শতভাগ প্রাকৃতিক, প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করা হয়নি এবং এগুলো শেলফে রাখা যাবে ৬ মাসের মতো। প্রতিটি চামচের দাম ৩ থেকে ৬ রূপী,তবে বেশি অর্ডার করলে মোট দামও কম রাখা হয়।
বিভিন্ন রং এবং ভিন্ন ভিন্ন আটটি ফ্লেভারে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে এই চামচ। এমনকি ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য ভিন্ন স্বাদের চামচও রয়েছে। প্যাটেল জানিয়েছেন, এই চামচ বাজারজাত শুরু হওয়ার পরবর্তী চার মাসে তিনি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নরওয়ে, মালয়েশিয়া ও সাউথ আফ্রিকায় ৫০ হাজারেরও বেশি এই খাওয়ার যোগ্য চামচ বিক্রি করেছেন।