দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বয়স বাড়ছে তো বাড়ছেই। কিন্তু এই বয়স বাড়লেও তিনি খেয়েছেন একমাত্র পানীয়। আর ওই পানীয় খেয়েই বেঁচে আছেন ১১২ বছর! সত্যিই বিচিত্র মানুষের জীবন ধারণের গতি-প্রকৃতি!
পৃথিবীতে জন্ম নেওয়া সকল মানুষকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ নিতে হবে সেটি বাস্তব সত্য। তবে কারও দ্রুত মৃত্যু হয় দেরিতে।তবে পৃথিবীর সকলেই চায় দীর্ঘায়ুভাবে বাঁচতে। প্রাচীনযুগে অবশ্য শতায়ুর পরও অনেক দিন মানুষ বেঁচে থাকতো। তবে এই যুগে সে ভাগ্য খুব কম লোকেরই হয়ে থাকে। এই যুগে কেও যদি সুস্থভাবে ১০০ বছরের বেশি বেঁচে থাকে, তাহলে তার বেঁচে থাকার কোনো বিশেষ কারণ থাকার সম্ভাবনা থাকে।
ব্রিটেনের গ্রেস জোন হলেন সতেমনই এক শতায়ু মহিলা। তিনি ৯ যুগেরও বেশি অর্থাৎ ১১২ বছরেও বেঁচে রয়েছেন। এই শতায়ু মহিলা নিজের মুখেই জানিয়েছেন তাঁর সুস্থ জীবনের সেই রহস্য।
কিছুদিন পূর্বেই ১০৫ বছরের এক ব্রিটিশ মহিলা তাঁর শতায়ু হওয়ার কারণ জনগণকে জানিয়েছিলেন। এবার শতায়ু হওয়ার রহস্য জানালেন গ্রেস জোনস। তিনি নিজেই এই আয়ুর জন্য হুইস্কিকেই ক্রেডিট দিলেন।
ব্রিটেনের ওয়র্কসের বাসিন্দা এই বৃদ্ধা জানিয়েছেন যে, ৫০ বছর বয়স হতে তিনি প্রত্যেকদিন রাতে এক পেগ করে হুইস্কি খান। দু’টি বিশ্বযুদ্ধ দেখেছেন এই জীবনে। ২৬ জন প্রধানমন্ত্রীর আমলে বেঁচে আছেন তিনি। সে কারণে তাঁর বন্ধুরা তাঁকে ‘অ্যামেজিং গ্রেস’ নামেই ডাকতেন। তিনি বিগত ৬০ বছর ধরে বিখ্যাত গ্রাউস সিঙ্গল মল্ট হুইস্কি খেয়ে আসছেন।
তিনি রাতে এক পেগ হুইস্কি কোনোদিনই মিস করেন না। তিনি যতোদিন বেঁচে থাকবেন, ততোদিন এইভাবে হুইস্কি খেয়ে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
তাঁর চিকিৎসকরাও বলেছেন, এতোটুকু হুইস্কি খাওয়া হার্টের পক্ষে ভালো। তিনি ২৭ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। এখনও তিনি মোটামুটি সুস্থই রয়েছেন। শুধুমাত্র কানে একটু কম শোনেন তিনি। এখনও প্রত্যেক সপ্তাহে শপিং করতে যান ব্রিটেনের এই শতায়ু নারী গ্রেস জোন।