দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথাগুলো শুনলে যে কেও আজগুবি হিসেবেই নিবেন। তবে এই আজগুবির মতো খবরটির দাবি করেছেন জাপানি গবেষকরা। তারা বলেছেন, মুরগির এমন একটি জাত উদ্ভাবন করতে সমর্থ হয়েছেন যা ‘স্বর্ণডিম’ দিতে পারে।
আমরা অনেক রকম ডিমের কথা জানি। যেমন হাাঁসের ডিম জাপানের বিজ্ঞানীরা মুরগির এমন একটি জাত উদ্ভাবনের খবরে এখন বিশ্বময় হৈ চৈ পড়ে গেছে। তবে জাপানের ওই গবেষকরা বেশ কিছু তথ্য উপাত্তও উপস্থাপন করেছেন।
গবেষকরা বলেছেন, স্বর্ণডিম এই কারণে বলা হচ্ছে, কারণ হলো ওই ডিমে থাকবে উচ্চমাত্রার প্রোটিন যা ক্যান্সার এবং হেপাটাইটিসের মতো জীবনঘাতী ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে। গত সপ্তাহে এই খবরটি প্রকাশ করেছে খ্যাতিসম্পন্ন ব্রিটিশ পত্রিকা গার্ডিয়ান।
জাপানের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির বায়োমেডিকেল রিসার্স ইন্সটিটিউট এর বিজ্ঞানীরা মুরগির নতুন এই জাতটি উদ্ভাবন করেছেন। সাধারণ মুরগির মতোই এই মুরগিও নিয়মিত ডিম দেয় বলে তারা জানিয়েছেন।
গবেষকরা বলেছেন, প্রতিটি স্বর্ণডিমে প্রোটিন থাকবে ৩০-৬০ মিলিগ্রাম। এই একটি ডিমের বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ আট হাজার পাউন্ড হতে ২০ মিলিয়ন পাউন্ড!
তবে আপনি চাইলেই এই ডিম এখনও হাতের নাগালে পাবেন না। কারণ হলো বিষয়টি নিয়ে এখনও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। তবে এমন এক সময় আসবে যখন আপনি অর্থ দিয়ে এই ‘স্বর্ণডিম’ কিনতে পারবেন।