দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্তানদের ওজন নিয়ে পিতা-মাতারা সবসময়ই দুশ্চিন্তায় ভোগেন এবং সন্তানদের ওজন এবং খাদ্য গ্রহণ বিষয়ে বিভিন্ন রকম আদেশ, উপদেশ দিয়ে থাকেন। আতংকের বিষয় হচ্ছে, সরাসরি সন্তানদের ওজন, আকার-আকৃতি নিয়ে পিতামাতার বিভিন্ন উদ্দেশ্যসূচক বক্তব্য, বিভিন্ন খাদ্যগ্রহণ বিষয়ক মন্তব্য তাদের মাঝে ডিসঅর্ডার তৈরি করতে পারে- মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।
পৃথিবীর সবদেশেই এক নম্বর স্বাস্থ্য ঝুঁকি হচ্ছে শিশু-কিশোরদের মাত্রাতিরিক্ত ওজন অথবা কম ওজন। এইকারণে পিতামাতারা সন্তানদের ওজন নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন সবসময় এবং এই উদ্বিগ্নের কারণে প্রায়ই তাদের সন্তানদের ওজন এবং দৈহিক বৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। কেউ কেউ কটূ কথা বলেও তাদের মানসিক পীড়া দেন যেটা খুব অনুচিত একটি কাজ।
মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকারীদের বক্তব্য হচ্ছে – যদি পিতামাতারা সবসময় সন্তানদের দৈহিক ওজন এবং আকৃতিকে উদ্দেশ্য করে কথোপকথন চালান, তাহলে তরুন সন্তানদের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর ডায়েটিং, অতিরিক্ত খাওয়াসহ খাদ্যগ্রহণ সংক্রান্ত ডিসঅর্ডারে ঝুঁকি বেড়ে যায় অনেকাংশে। গবেষণায় আরো দেখা যায়, পিতামাতা সন্তানদের পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের দিকে সচেতন করে তোলেন, তাদের সন্তানেরা কম ডিসঅর্ডারে ভোগেন।
পিতামাতার করণীয়ঃ
• সন্তানদের সুস্বাস্থ্য এবং সঠিক শারিরীক গঠণ ঠিক রাখতে পিতামাতাদের অবশ্যই পরিকল্পিত আচরণের দিকে নজর দেওয়া উচিত। সন্তানদের ওজন এবং আকার নিয়ে কটূক্তি এড়িয়ে চলা উচিত।
• পিতামাতাদের সন্তানদের সাথে খাদ্য সংক্রান্ত কথোপকথনের সময় অবশ্যই খাদ্যের গুণাগুণ, পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে আলোকপাত করা উচিত।
• সন্তানদের স্থূলতা থাকলে ওজন হ্রাসের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন পিতামাতা। পরিমাণমত খাদ্যগ্রহণ অথবা ডায়েটিং এর ব্যাপারেও পরামর্শ দিতে পারেন বাবা-মা।
• খেলাধূলা ও শরীরচর্চার দিকেও নজর দিতে সন্তানদের পরামর্শ দিতে পারেন অভিভাবকরা।
সচরাসচর দেখা যায়, কিশোর-কিশোরীরা নিজেদের ওজন বা আকার নিয়ে যে মানসিক অস্থিরতায় ভোগে, সেক্ষেত্রে সুস্থ এবং সুন্দর জীবন নিশ্চিত করতে তাদের পিতামাতার উচিত সন্তানদের ওজন এবং আকার নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণের পরামর্শ দেওয়া।
তথ্যসূত্রঃ হেলথ লাইন