দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিষয়টি শুনতেই যেনো কেমন লাগে। কারণ এক দেশের নাগরিক আরেক দেশে গিয়ে খাবার সংগ্রহ করতে হয়। তবে বিস্ময়কর মনে হলেও ঘটনাটি সত্যি। সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের এমন একটি খবর সবার মুখে মুখে।
সারাবিশ্বে এমন অনেক অবাক করার মতো ঘটনা ঘটে থাকে। তবে সত্যিই এক মজার দেশ মনে হয় ভারতকে! কারণ দেশটির কৃষ্টি, কালচার ও সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন রকম। আবার বৈষম্যও অন্য দেশের চেয়ে একটু বেশিই মনে করা হয়। ভারতের উত্তরাখণ্ডের বৈস্য উপত্যকার ধরচুলা গ্রাম। ওই গ্রামের বেশকিছু মানুষ চীন থেকে খাবার সংগ্রহ করে খেয়ে থাকেন। এই গ্রামটিতে বসবাস করেন প্রায় চারশ’ পরিবার।
ধরচুলা গ্রামের সিংহভাগ মানুষের অভিযোগ হলো, রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার গ্রামের নাগরিকদের প্রতি এতোটাই উদাসীন যে, সেখানে রেশনের দোকান থাকলেও তাদের জন্য বরাদ্দ সামগ্রীর পরিমাণ খুবই কম। যে কারণে নেপাল ঘুরে যে চীনা পণ্য আসে, তারা শেষ পর্যন্ত তাই কিনতে বাধ্য হন। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবেই চলে আসছেন।
শুধুমাত্র ধরচুলা গ্রামই নয়, উপত্যকার সীমান্তবর্তী সব আদিবাসী গ্রামেই ঠিকমতো রেশন দেওয়া হয় না বলে ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে। যে কারণে বাধ্য হয়েই তারা সীমান্তের কালি নদীর ব্রিজ পার হয়ে নেপালের টিঙ্কার এবং ছাংরু বাজারে গিয়ে চাইনিজ খাবার কিনে আনছেন।
আদিবাসী নেতা কৃষ্ণা গারবিয়াল নামে বৈস্য উপত্যকার বাসিন্দা জানান, আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী রাজ্য সরকার রেশন দিতে ব্যর্থ। যে কারণে রেশনের অভাবে গ্রামবাসীরা নেপালের বাজার থেকে চীনা খাবার কিনে এনে খাচ্ছেন। উপত্যকার মাটিতে ঠিকমতো ফসলও ফলে না। তাই গ্রামবাসীকে সরকারের দিকেই চেয়ে থাকতে হয় সব সময়।
কৃষ্ণা গারবিয়াল বলেন, ‘আমাদের একমাত্র ভরসা হলো চীনা পণ্য। চাল, ডাল, তেল এমনকি সাবান পর্যন্তও আমরা চীন থেকেই কিনি। শুধু আমাদের গ্রাম নয়, আশপাশের আরও অন্তত ৭টি গ্রামেও একই অবস্থা বিরাজমান।’
নবিয়াল নামে অপর এক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যমকে জানায়, ‘সরকার পরিবারপ্রতি মাত্র ২ কিলোগ্রাম চাল ও ৫ কিলোগ্রাম গম দিয়ে থাকে।
সে কারণে সীমান্তের এসব গ্রামের মানুষদের জীবনে এমন এক অবস্থায় দাড়িয়েছে, সীমান্ত পার হয়ে নেপালের মধ্যে গিয়ে চীনা পণ্য কিনতে হয়। এছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই বলেও কয়েকজন বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন।