দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অফিসে বা যেকোন জায়গায় সারাদিন একভাবে কাজ করতে করতে নিজেকে কিছুটা ক্লান্ত লাগে। তবে কাজের এত চাপ যে ক্লান্ত লাগলেও কাজ করতে হয়। মানুষ সকালের দিকে যেমন গতিতে কাজ করে দুপুরের পর তা ৩০% কমে যায়। কাজের এই গতি কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে দুপুরের পর মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায়। এই ক্লান্ত হয়ে পরার বেশ কিছু কারণ রয়েছে। কিছু অভ্যাস আপনার এই ক্লান্ত শরীরকে আবার কাজের প্রতি মনোনিবেশ করতে সাহায্য করতে পারে।
আজ আমরা এমন কিছু অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করব, যে অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করলে দুপুরের পরও আপনার সকালের মত কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে।
১। ১০ মিনিট বাইরের পরিবেশ দেখুনঃ
অনেকক্ষণ কাজ করতে করতে শরীর এবং মন কিছুটা ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই দুপুরে কিছু সময় বাইরের পরিবেশ উপভোগ করুন। প্রকৃতির নানা বৈচিত্রময় দৃশ্য উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। আকাশে পাখি উড়া, বাতাসে গাছের শাখাগুলো দোল খাওয়া ইত্যাদি দৃশ্য এমনকি ব্যস্ত শহরের নানা ধরণের মানুষের যাতায়াত লক্ষ্য করে দেখুন। আপনার মনের সেই ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
২। ১০ মিনিট কোন ভাল আর্টিকেল বা বই পড়ুনঃ
বই পড়া একটি অন্যরকম মজার জিনিস। খাবার শরীরের জন্য আবশ্যক। কিন্তু কোন খাবার বেশি খেলে তা আবার বড় ধরনের ক্ষতির অন্যতম কারণ হতে পারে। তবে বই হচ্ছে এমন একটি বস্তু, যা যত পড়বেন ততই আপনার জ্ঞান পরিপুষ্ট হবে। কোন ক্ষতির সম্ভবনা নেই। তাই বই বা কোন ভাল আর্টিকেল পড়লে একদিকে যেমন জ্ঞানের পরিসীমা বৃদ্ধি পাবে, অন্যদিকে আপনার দুপুরের সেই ক্লান্ত মন আবার কর্মক্ষম হয়ে উঠবে।
৩। পর্যাপ্ত পানি পান করুনঃ
দুপুরে শরীরে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায়, তাই পর্যাপ্ত পানি পান না করায় শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়। আজ থেকে দুপুরে পর্যাপ্ত পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এই অভ্যাস আপনার শরীর এবং মন উভয়কেই সতেজ রাখবে।
৪। আপনার প্রিয়জনকে একটি সুন্দর মেইল সেন্ড করুনঃ
মনকে সতেজ রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে দুপুরের এই ক্লান্তিময় সময়ে প্রিয়জনকে একটি সুন্দর মেইল লিখে সেন্ড করুন। তবে এসএমএস করবেন না, তাহলে বার বার তা রিপ্লাই দিতে আপনার কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। মনের মাধুর্য মিশ্রিত একটি মেইল সেন্ড করায় আপনার মন আবার সজিবতা ফিরে পাবে। তাই সকালের মত আবার কর্মক্ষমতা ফিরে পাবেন।
৫। সুন্দর সময়গুলো কল্পনা করুনঃ
প্রতিটি মানুষের জিবনেই সুখ-দুঃখ রয়েছে। তবে দুপুরে ৫ মিনিটের জন্য আপনার লাইফের কিছু সুন্দর সময় কল্পনা করুন। দেখবেন জীবনটা কত আনন্দময়! আনন্দের সময়গুলো কল্পনা করলে আমাদের মনের প্রসারতা বৃদ্ধি পায়। তাই আপনি ফিরে পাবেন সকালের মত কার্যক্ষমতা।