দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেড়াতে যাওয়ার কথা শুনলে আমরা অনেকেই পাগল হয়ে যায়। বিশেষ করে জাহাজে বেড়ানোর মজাই আলাদা। পানিতে পানিতে ঘুরে বেড়ানো সত্যিই এক অন্য রকম অনুভূতি। আজ রয়েছে জাহাজের উপর ভাসমান এক হোটেলের গল্প!
আমরা অনেকেই বেড়ানোর পাগল থাকি। সময় পেলেই দেশ-বিদেশে ঘোরার সুযোগ হাতছাড়া করিনা এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে খুব একটা কম নেই। আর সেই ঘুরতে যাওয়া বিশেষ করে জাহাজে বেড়ানোর মজাই আলাদা। পানিতে পানিতে ঘুরে বেড়ানো সত্যিই এক অন্য রকম অনুভূতি। আজ রয়েছে জাহাজের উপর ভাসমান এক হোটেলের গল্প! সত্যিই এক ব্যতিক্রমি ভাসমান হোটেল এটি। আসুন এমন একটি হোটেল সম্পর্কে আজ পরিচিত হই।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, জাপানের ওসাকা দ্বীপের এক শত মাইল পশ্চিমে একটি জাহাজের ওপর বিলাসবহুল এক ভাসমান হোটেল তৈরি করা হয়েছে। এই হোটেলটি মূলত জাপানের সেটোসি অঞ্চলের সেটু দ্বীপ সাগরে একটি জাহাজের ওপর তৈরি করা হয়।
জানা গেছে, এই হোটেলটিতে মোট ১৯টি কক্ষ রয়েছে। একইসঙ্গে ৩৮ জন যাত্রী এখানে বিলাসবহুলভাবে সময় অতিবাহিত করতে পারবেন।
স্থপতি উয়াসুসি হুরিবে এই জাহাজটি নির্মাণ করেছেন। এটি অনেকটা জাপানিজদের সাধারণ গেস্ট হাউজের মতোই। তবে এখানে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার বিশেষ সুযোগ।
এই হোটেলের নির্মাতা উয়াসুসি হুরিবে বলেছেন, জাহাজে হোটেল তৈরি একটি ভিন্ন ধারণা সেটি ঠিক, তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন এর যাত্রীরা।
উয়াসুসি হুরিবে বলেছেন, এই হোটেলে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে, এই ভাসমান হোটেলের যাত্রীরা একটি আনন্দঘন সময় অতিক্রম করতে পারবেন।
উয়াসুসি হুরিবে বলেছেন, এই হোটেলে ইচ্ছামতো আপনি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এই হোটেলে জাপানের ঐতিহ্যবাহী খাবরও পাওয়া যাবে।
এই ভাসমান হোটেলের যাত্রীরা চাইলে পাশের ছোট দ্বীপগুলোতে্র যেতে পারবেন। এখানে যাত্রীদের জন্য সকালে হাটার সুব্যবস্থা রয়েছে, রয়েছে একদিনের জন্য জেলে হওয়ার সুযোগও! তারা স্থানীয় অনুষ্ঠানও উপভোগ করতে পারবেন।
উয়াসুসি হুরিবে আরও বলেছেন যে, আমি এখানে কাজ করতে পেরে সত্যিই আনন্দিত। এটি এমন একটি স্থান যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যে কাওকে মোহিত করে। তবে মজার বিষয় হলো- যে কোনো আবহাওয়াতেই হোটেলের রং বদলে যাবে। সত্যিই চমৎকার একটি ভাসমান হোটেল।