দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ খাবার খাওয়ার সময় যদি দাঁতের নিচে একবার এলাচের ফল পরে, তবে মনে হয় খাওয়ার স্বাদটাই বুঝি নষ্ট হয়ে গেল। তবুও ভাল কোন রান্নায় এলাচের ফল ছাড়া তার আসল স্বাদ পাওয়া যায় না। তাই যেকোন খাবারেই পর্যাপ্ত এলাচের ফল ব্যবহার করা হয়। তবে জানেন কি? এই এলাচ শুধু খাবারের স্বাদ সৃষ্টিই করে না, আপনার শরীরের ৭টি জটিল সমস্যা সমাধানে চাইলে এই এলাচের ফল খেতে পারেন।
আজ আমরা জানবো প্রতিদিন একটি এলাচের ফল খেলে কি কি সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়।
১। ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করতেঃ
আমাদের শরীরের দৈনন্দিন কার্য সম্পাদন করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ক্ষতিকর টক্সিন শরীরে জমা হয়। শরীরের এই টক্সিন দূর করতে এলাচ ফল অনেক ভাল কাজ করে। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কার করে শরীরকে রাখে টক্সিন মুক্ত।
২। রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখেঃ
রক্ত নালীতে রক্ত জমাট বাধা একটি মারাত্বক সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে প্রতিদিন একটি করে এলাচের ফল খেতে পারেন। এলাচ ফল রক্তের ঘনত্ব ঠিক রাখে। এমনকি রক্তনালীতে জমাট বাধা রক্ত আগের অবস্থায় ফিরতে সাহায্য করে।
৩। মুখের দূর্গন্ধ দূর করেঃ
মুখে দুর্গন্ধ থাকলে সবার মাঝে কথা বলা নিজের কাছে যেমন অপমান বোধ হয়, অন্যরাও বিরক্ত বোধ করলেও তা মুখের উপর বলতে পারে না। এটি একটি মারাত্বক সমস্যা। সাধারণত মুখের মধ্যে একধরণের ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়ে এমন গন্ধ ছড়ায়। লবঙ্গের পাশাপাশি এলাচের ফলও মুখের দূর্গন্ধ দূর করতে অনেক ভাল কাজ করে। এছাড়া মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়া সহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
৪। পেটের নানা সমস্যা সমাধানঃ
পেট ফাপা, বমি ভাব, পেটে জ্বালাপোড়ার মত নানা সমস্যা সমাধানে এলাচের জড়ি মেলা ভার। তাই পেটের এই জাতীয় সমস্যায় এলাচ খেতে পারেন।
৫।উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণঃ
যারা উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগছেন, শুধু তারায় নয় সবার জন্যই এলাচের ফল রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এলাচ খাওয়া প্রয়োজন।
৬। বার্ধক্যজনিত সমস্যা দূরঃ
বয়স বৃদ্ধি ছাড়াও অনেকের কম বয়সেই শরীরে বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ পরে। এলাচ এই বার্ধক্যজনিত সমস্যা সমাধানে দারুন কাজ করে। নিয়মিত এলাচের ফল খেলে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বয়স বৃদ্ধি ছাড়া অন্যকোন কারণে শরীরে বার্ধ্যক্যের ছাপ পড়তে দেয় না।
৭। ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ
এলাচ ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপাদান শরীরে রোগ প্রতিরোধক সেল বৃদ্ধি করে সেই সাথে ক্যান্সারের কোষগুলোকে বিস্তার করতে বাধা প্রদান করে।