দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবুজ এক ভৌতিক গ্রাম। দূর থেকে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। তবে একেবারেই নীরব-নিস্তব্ধতায় ভরপুর। এমন এক ভৌতিক গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৫ জন! আজ রয়েছে সেই গ্রামের গল্প।
না গা শিন শিন করা গল্প নয়, তবে এক সময় ছিলো এমন শিন শিনে গল্পও। এখনও কী তা আছে? এই প্রশ্ন আসতেই পারে সকলের মনে এবং সেটি আসাও স্বাভাবিক ব্যাপার বলেই মনে করা হয়। সবুজ এক ভৌতিক গ্রাম। দূর থেকে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। তবে একেবারেই নীরব-নিস্তব্ধতায় ভরপুর। এমন এক ভৌতিক গ্রামের বাসিন্দা মাত্র ৫ জন! আজ রয়েছে সেই গ্রামের গল্প।
এই গ্রামটিকে বলা যায় ভৌতিক বা ‘ভূতুড়ে’। এই গ্রামটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বহু আগেই। একেবারে খাঁ খাঁ পড়েছিল গ্রামের বাড়ি-ঘর, পথ-ঘাট সব কিছুই। আর তাই এক সময় খেতাব জুটে গিয়েছিল ‘ভৌতিক’ বলে। তবে ক্রমেই যেনো সেই ‘ভূতুড়ে’ গ্রামটিই এক সময় হয়ে উঠলো পর্যটক-আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
এমনটিই ঘটেছে পূর্ব চীনের শেংশান দ্বীপের গ্রাম হোউতোউওয়ানের। এক সময় এই গ্রামে ছিল ৩ হাজার মৎস্যজীবীর বসবাস। ১৯৯০-এর দশকে এই গ্রামের বাসিন্দারা একে একে শহরের আকর্ষণে গ্রাম ছাড়তে শুরু করে দেয়। একসময় এসে গ্রামটি জনমনবহীন হয়ে পড়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, আজ এই গ্রামটিতে বসবাস করেন মাত্র ৫ জন মানুষ।
জানা গেছে সাংহাই শহর হতে ৫৫ মাইল দূরে অবস্থিত হোউতোউওয়ান জনশূন্য হলেও বর্তমানে এটি এক নামকরা পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে গড়ে উঠেছে। নির্জন গ্রামটির সবক’টি বাড়িই ঢেকে ফেলেছে সবুজ লতায়। বাড়িগুলোর ভিত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে আইভিলতার শিকড়গুচ্ছে। গোটা গ্রামটিই যেনো ঢাকা পড়েছে এক মায়াবি সবুজে।
তাই ব্যস্ত শহর সাংহাইও এই গ্রামটিকেই বেছে নিয়েছে তার সন্নিহিত পর্যটনক্ষেত্র হিসেবে। সেখানে খোলা হয়েছে এক সুবিশাল স্টারবাকস রেস্তোরাঁ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে হোউতোউওয়ানে পর্যটকদের আনাগোনা নিয়মিত এবং চোখে পড়ার মতো। তবে কেও কেও নাকি এখানে ভূত দেখেছেন! এমন কথা শুনে বেশির ভাগ ট্যুরিস্টই নাকি মুখ টিপে হাসেন। সবুজ ছায়ায় ঘেরা বাড়ি ও দেওয়ালে কি অন্য কোনো রংয়ের ছায়া বা ভূতের মতো কোনো দানব ছুঁতে পারে? টুরিষ্টদের হাসি অন্তত তাই বলে দেয়।