দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র সৈকতে এই অদ্ভুত কঙ্কালের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই অদ্ভুত কঙ্কাল নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রতটে পাওয়া গেছে এক অদ্ভূতদর্শন কঙ্কাল। তাই নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি কেওই বুঝে উঠতে পারছেন না, এমন অদ্ভুত দেখতে কঙ্কাল কোন প্রাণীর হতে পারে তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।এই কঙ্কাল নিয়ে নানা জন নানা কিছু লিখছেন। কেও কেও তো এটিকে ভিনগ্রহের প্রাণীর কঙ্কাল হিসেবে মনে করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে সংবাদ মাধ্যমকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের বাসিন্দা হ্যানা মেরি জানিয়েছেন, তার মাকে নিয়ে ক্যান্টারবেরির সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে বেরিয়েছিলেন তিনি। সেই সময় অদ্ভূত দেখতে এই কঙ্কালটিকে সেখানে পড়ে থাকতে দেখেন তারা। বোঝাই যাচ্ছিল যে, এটি পানির তোড়ে ভেসে এসেছে। কাছে গিয়ে দেখা যায় দু’টি পা, দু’টি ডানা, দু‘পাটি দাঁত ও একটি লেজ রয়েছে এই কঙ্কালটিতে। মুখটাও অনেকটা সূচালো।
বিষাক্ত কিছু হতে পারে এমন কথা ভেবে প্রথমে হাত ছোঁয়াননি হ্যানা বা তার মা। শেষমেশ অবশ্য সাহস করেই কঙ্কালটি হাতে তুলে নেন হ্যানা ও তার মা। সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা অন্য লোকজনও এটিকে শনাক্ত করতে পারেননি। বাধ্য হয়েই স্থানীয় এক পশু সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞর দ্বারস্থ হন হ্যানা। তবে তিনিও সেটি কোন প্রাণীর কঙ্কাল তা বুঝতে পারেননি।
শেষ পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন হ্যানা। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কঙ্কালটির অনেকগুলো ছবি পোস্ট করেন হ্যানা, যদি কেও কিছু বলতে পারেন সেই আশা নিয়ে। নানান সামুদ্রিক মাছের সঙ্গে তুলনা টানেন কেও কেও এটিকে। কেও আবার বলেন, ভিনগ্রহের প্রাণীর কঙ্কাল এটি। কেওবা বলছেন অন্য কিছু।
শেষ পর্যন্ত দ্বন্দ্ব দূর করেন নিউজিল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক রিসার্চ সেন্টারে কর্মরত প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ডা. ম্যালকম ফ্রান্সিস। কঙ্কালটি গভীর সমুদ্রে বসবাসকারী বিশেষ এক ধরনের শঙ্কর মাছের। এটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘ডিপটুরাস নাসুটাস’।
বিজ্ঞানী ডা. ম্যালকম ফ্রান্সিস জানিয়েছেন যে, কঙ্কালটি একটি পুরুষ মাছের। ডানায় খোঁচা খোঁচা নখের মতো যে জিনিসগুলোকে দেখা যাচ্ছে, সেগুলো প্রকৃতপক্ষে এক ধরনের হাড়। যা শুধু পুরুষদের মধ্যেই থাকা সম্ভব। মূলত সঙ্গমের সময় সেগুলো ব্যবহার করে তারা। চ্যাপটা দেখতে এই মাছগুলোর শরীর পাতলা ছালে আবৃত থাকে।
মানুষের পক্ষে এরা একেবারেই ক্ষতিকারক নয়। শরীরে বিষও নেই। বরং তাদের ডানাগুলোও মানুষ খেতে পারে। সাধারণত গভীর সমুদ্রেই থাকতে পছন্দ করে এই এরা। তবে মাঝেমধ্যেই মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ে। প্রাণীটি লম্বায় এক মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন এই বিশেষজ্ঞ।