দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবী সৃষ্টির ইতিহাস বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। যদিও আল কোরআনই হলো এর একমাত্র সমাধান। এবার জানা গেলো কাবাঘরের জমিনটুকুই পৃথিবীর প্রথম জমিন।
ইসলামী জ্ঞানের তথ্যমতে জানা যায় যে, পৃথিবীতে ভূমির সৃষ্টি হয় মক্কায় অবস্থিত কাবা ঘরের স্থলকে কেন্দ্র করে। হাদিসের তথ্য মতে, কাবার নিচের অংশটুকু অর্থাৎ কাবাঘরের জমিনটুকুই হলো পৃথিবীর প্রথম জমিন। বিশাল সাগরের মাঝে এর সৃষ্টি হয়েছিলো। তারপর ধীরে ধীরে এর চারপাশ ভরাট হতে থাকে। এভাবেই সৃষ্টি হয় একটি বিশাল মহাদেশের। পরে এক মহাদেশ থেকে সৃষ্টি হয় সাত সাতটি মহাদেশের।
ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা মনে করেন, পৃথিবীতে মহান রাব্বুল আলামীনের অনন্য নিদর্শনই হলো পবিত্র কাবা শরীফ। ভৌগোলিকভাবে গোলাকার পৃথিবীর মধ্যস্থলে বরকতময় এই পবিত্র কাবার অবস্থান। তবে এটিও অনেকের কাছেই আশ্চর্যজনক বিষয় মনে হতে পারে।
পৃথিবী সৃষ্টির আদিকাল হতেই আল্লাহ পবিত্র কাবা শরীফকে তার মনোনীত বান্দাদের মিলনমেলাস্থল হিসেবেই কবুল করেছেন।
পৃথিবী জুড়েই এই কিবলা তথা পবিত্র কাবা শরীফ সম্পর্কে নানা বিষয় জানতে আমরা সবসময়ই আগ্রহী হয়ে থাকি। তবে এর সবটা হয়তো জানা হয় না কখনও। অনেকেই হয়তো এ বিষয়গুলো সম্পর্কে কিছুই জানেন না, আজ পবিত্র কাবা শরীফ সম্পর্কিত কিছু আশ্চর্যজনক তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
কাবা শরীফের সংস্কার
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন বন্যা ও শত্রুদের আক্রমণের কারণে বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় পবিত্র কাবা শরীফ। তাই বেশ কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত কাবা শরীফকে পুন:নির্মাণ করা হয়েছে।
সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য ঐতিহাসিকদের তথ্য মতে, পত্রি কাবা শরীফকে এই পর্যন্ত ১২ বার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। বিভিন্ন বিপর্যয়ের হাত হতে সংরক্ষণ করতে কাবা শরীফকে সর্বশেষ ১৯৯৬ সালে আধুনিক এবং শক্তিশালী প্রযুক্তির প্রয়োগে সংস্কার করা হয়। কাবা শরীফ পুন:সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে ১৯৯৬ সালে হাতিমে কাবাও পুন:নির্মাণ করা হয়।
পবিত্র কাবা শরীফ নির্মাণ-পুন:নির্মাণে বিভিন্ন যুগে হজরত আদম (আ:), হজরত ইব্রাহিম (আ:), হজরত ইসমাইল (আ:) ও আখেরি নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা:) অংশগ্রহণ করেছিলেন।
কাবার গিলাফের রং পরিবর্তন
পবিত্র কাবা শরীফে যে কালো কাপড়টি দেখা যায় সেটিকে হলো ‘কিসওয়া’ বা কালো রংয়ের কাপড়। যা দ্বারা কাবা শরীফকে ঢেকে দেওয়া হয়। তবে অনেকেরই জানা নেই যে, এই ‘কিসওয়া’ বা গিলাফ আগে কালো ছিল না।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, প্রথমদিকে জরহাম গোত্রের শাসনামলে তাদের নিয়মানুযায়ী ‘কিসওয়া’ দ্বারা কাবা শরীফের আচ্ছাদন প্রক্রিয়াটি সর্বপ্রথম শুরু করা হয়। তারপর হতে এটি চলে আসছে।