দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কথায় বলে- ‘সখের তোলা আটআনা’! সত্যিই তাই মানুষের সখের যেনো শেষ নেই। টাকা থাকলেই যে সোনার গহনা পরে ঘুরে বেড়াতে হবে তার কোনো মানে নেই। তবে এই ব্যক্তি তাই করছেন। ১৩ কেজি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার পরে ঘুরে বেড়ান তিনি!
আমরা জানি নারীদের স্বর্ণালঙ্কারের প্রতি আকর্ষণ থাকে। কিন্তু কোনো ছেলে মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হওয়ার কথা আগে কখনও শোনা যায়নি। তবে এবার তাই শোনা গেলো। এক ব্যক্তির সোনার গহনার প্রতি এতোই আকর্ষণ যে তিনি ১৩ কেজি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার পরে ঘুরে বেড়ান!
তেমনই এক পুরুষের সন্ধান পাওয়া গেছে যিনি থাকেন ভিয়েতনামে। ট্র্যান নুক পুক হলেন তেমনই একজন পুরুষ, যিনি সোনার গহনা পরায় ছাড়িয়ে গেছেন বহু নারীকেও। বর্তমানে তিনি সর্বমোট ১৩ কেজি সোনার অলঙ্কার পরেন।
৩২ বছর বয়সি ট্র্যানের বসবাস ভিয়েতনামের হো চি মিন শহরে। পেশায় তিনি একজন তেল ব্যবসায়ী। ৫ বছর পূর্বে একবার জ্যোতিষীর কাছে গিয়েছেন তিনি। ওই জ্যোতিষী নাকি তাকে বলেছিলেন, তিনি যদি সোনার অলঙ্কার ব্যবহার করেন তবে তার ভাগ্য খুব সুপ্রসন্ন হবে। মূলত তখন থেকেই তার স্বর্ণালঙ্কার ব্যবহার শুরু হয়েছে।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো, ওই জ্যোতিষী কিন্তু তাকে এতো বেশি সোনার অলঙ্কার পরতে বলেননি। ট্র্যান নিজেই মনে করেন যে, যতো বেশি অলঙ্কার তিনি পরবেন ততোই তার ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হবে!
ট্র্যান এমন ভাবনা হতেই ৫ কেজি ওজনের সোনার চেইন, ৫ কেজি ওজনের একটি ব্রেসলেট ও প্রতিটি ৫শত গ্রাম ওজনের ১০টি আংটি পরা শুরু করেন ট্র্যান। সব মিলিয়ে তার অলঙ্কারের ওজন বর্তমানে ১৩ কেজি!
ট্র্যান যেখানেই যান এই অলঙ্কার পরে থাকেন। এইসব অলঙ্কার পাহারা দেওয়ার কাজে নিয়োজিত থাকে তার ৫ জন দেহরক্ষী। চলতি মাসে তারানের বেশ কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জনসমক্ষে চলে আসে।
আর তারপর হতেই তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, অনলাইন মাধ্যমগুলোতে লেখালেখি শুরু হয় তাকে নিয়ে। অবাক হয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন কীভাবে একজন মানুষ এতো বেশি সোনার অলঙ্কার পরে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন। কেও কেও আবার একে নকল গহনা বলেও অবিহিত করেছেন। তবে ট্র্যানের সাফ জবাব, যার যা খুশি সে তাই ভাবুক আমার তাতে কি এসে যায়। আমি আমার মতোই চলবো।