দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকটা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। হাসপাতালের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪টি কুুকুর। কেনো? কারণ হলো তার বন্ধু অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
মানুষ বন্ধুত্বের মর্যাদা রাখে না। কিন্তু তারা কখনও বিশ্বাসঘাতকতা করে না। এমনকি বিপদের মুহূর্তে কখনও তারা ছেড়ে চলে যায় না। তারা হলো কুকুর। এদের বন্ধুসূলভ আচরণের কথা হর-হামেশাই শুনতে পাওয়া যায়। সেটি আরও একবার প্রমাণ হলো ব্রাজিলের এই ঘটনায়।
ব্রাজিলের সান্তা ক্যাটারিনার হসপিটাল রিজিওন্যাল অল্টো ভ্যালেতে ভীষণ অসুস্থতা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন সিজার নামে এক তরুণ। তাকে দেখার কেও নেই। তবে ওই তরুণের ভর্তির সময় হতে হাসপাতালের দরজার সামনে ঠায় দাঁড়িয়েছিল ৪টি কুকুর।
হাসপাতালের নার্স ক্রিস ম্যামপ্রিম ফেসবুকে জানিয়েছেন যে, রাত যখন ৪টা বাজে, ওই জায়গা থেকে এক চুলও সরেনি কুকুরগুলো। ক্রিসের ভাষায়, প্রত্যেকের মুখ ছিলো বিষন্ন। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো তারা। কুকুরদের এমন শিষ্ঠাচার দেখে অবাক হয়েছেন হাসাপতালের কর্মচারীরাও।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে ওই কুকুরদের সঙ্গে সিজারের সম্পর্ক কী? সিজার একজন ভবঘুরে। তাই তার জীবন কাটে ফুটপাথেই। কখনও কপালে খাবার জুটলে পেট ভরায়, কোনওদিন আবার তাও জোটে না। তবে যেদিন খাবার জোটে, তার প্রথম ভাগই চলে যায় ওই ৪ কুকুরের জন্য! সুখে-দুঃখে সবসময় সঙ্গী হয়ে পাশে থাকে কুকুরগুলো। সিজার যখন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলো, কুকুরগুলোর তৎপরতায় বাধ্য হয়ে পথচারীরা হাসপাতালে ভর্তি করে দেয় সিজারকে।
নার্স ক্রিস ম্যামপ্রিম জানিয়েছেন, ভোরে কিছুটা সুস্থ হয়েছিলেন সিজার। তারপর তার কাছে কুকুরদের যেতে অনুমতি দেওয়া হয়। ক্রিসের ভাষায়, ওই কুকুরদের ভদ্রতা দেখে অবাক হয়ে যান তিনি। যতোক্ষণ না তাদের ভেতরে ঢুকতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে, ‘বন্ধুর’ অপেক্ষায় বাইরে চুপটি করে বসেছিল তারা একাগ্রচিত্তে। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সিজার ও ৪ কুকুরকে খাবার দেওয়া হয়। ‘বন্ধুর’ সুস্থতার ট্রিট পেয়ে ভীষণ খুশিই হয়েছেন তারা।