দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পালিত হয়ে গেলো যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন। উৎসবের আমেজে গা ভাসিয়েছে যেনো গোটা দুনিয়া। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে গির্জায় গির্জায় ভিড় জমিয়েছেন সাধারণ মানুষের। আজ জেনে নিন বিশ্বের অদ্ভুত কয়েকটি গির্জার গল্প!
যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনে ২৫ ডিসেম্বর মোমবাতি জ্বালিয়ে চলেছে প্রার্থনা। গির্জা বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিরাট একটি হল রুম। সারি সারি বেঞ্চ পাতা থাকে সেখানে। তার সামনে প্রার্থনার স্থান ও যিশু খ্রিস্টের বিরাট মূর্তি। তবে আপনি জানেন কী? বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অদ্ভুত আকৃতির নানা গির্জা। একটির প্রবেশ পথ খুঁজে পাওয়াই মুশকিল, আবার অন্যটির কারুকার্য আপনাকে অবাক করে দেয়। চলুন ঘুরে দেখা যাক সেইসব অদ্ভুত গির্জাগুলো সম্পর্কে।
দক্ষিণ আমেরিকার কলম্বিয়ার লাস লাজাস ক্যাথিড্রাল
যেনো দেখেই চোখ জুড়িয়ে যায়। কীভাবে নির্মাণ করা হলো এমন পাহাড় প্রমাণ অদ্ভুত সুন্দর ক্যাথিড্রাল! ভাবতে গেলে সত্যিই অবাক লাগে। গুয়েতারা নদীর ক্যানেলের উপর তৈরি হয় এই ক্যাথিড্রালটি ১৯১৬ সালে। স্থানীয়দের ধারণা মতে, এই নদীতেই নাকি আবির্ভাব ঘটেছিল ভার্জিন মেরির। সেই কারণে এভাবে এখানে তৈরি করা হয়েছিল ক্যাথিড্রালটি।
আইসল্যান্ডের দ্য চার্চ অফ হ্যালগ্রিমার
আইসল্যান্ডের ৪টি সুউচ্চ আশ্চর্য সৌধের মধ্যে অন্যতম হলো লুথেরান প্যারিশ চার্চ। এটির উচ্চতা হলো ২৪৪ ফুট। দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে একটু একটু করে নির্মাণ করা হয়েছে গির্জাটি। ১৯৪৫ সালে গির্জা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ১৯৮৬ সালে শেষ হয়। এই অনবদ্য স্থাপত্যের নেপথ্যের কারিগর হলেন স্যামুয়েলসন।
কানাডার এবির ক্যালগরি ডেভিস টু রুট আউট ইভিল
যেমনি অদ্ভুত নাম, ঠিক তেমনই অদ্ভুত এর আকারও। এই আকারের জন্য কম বিতর্কও হয়নি। ভাবুন একবার, ঈশ্বরের একটি প্রার্থনা স্থানের আকার যদি সম্পূর্ণ উলটো হয়, তাহলে কি সত্যিই তা মেনে নেওয়া সম্ভব? এ ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছিল। গির্জাটি দেখে মনে হবে, কোনও তুফানের ঝটকায় উলটে গেছে এটি। বিতর্ক এড়াতে ২০০৮ সালে ভ্যাঙ্কোভার হতে ক্যালগরিতে স্থানান্তরিত হয় গির্জাটি।
আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস’র দ্য গ্রিন চার্চ
এই গির্জায় গেলে আর কারও বাড়ি আসতেই ইচ্ছা করে না। অপূর্ব সুন্দর সবুজ হতে চোখ যেনো ফেরানোই দায়। গোটা চার্চের দেওয়াল ঢাকা হয়েছে বাঁশ গাছের পাতা দিয়ে। এই বিষয়টিই একে করে তুলেছে আরও অনন্য। ম্যারাডোনা ও লিওলেন মেসির দেশে ঘুরতে গেলে এই গির্জা দর্শন করতে ভুলবেন না কিন্তু।
রাশিয়ার মস্কোর সেন্ট বাসিলস ক্যাথিড্রাল
ভিডিও বা ছবিতে হয়তো অনেকেই ডিসনি ওয়ার্ল্ড দেখেছেন। মস্কোর এই চার্চ সেই ডিসনি ওয়ার্ল্ডকেই যেনো মনে করিয়ে দিচ্ছে। রাশিয়ার রাজধানীর অন্যতম আকর্ষণ হলো এই ক্যাথেড্রাল অব সেন্ট বাসিল। ১৫৫৫ হতে ১৫৬১ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয়েছিল এই গির্জাটি। কথিত রয়েছে যে, রেড স্কোয়ারে অবস্থিত এই গির্জার স্থপতিকে অন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতেকরে তিনি এমন অভূতপূর্ব গির্জা আর কখনও বানাতে না পারেন! তবে শোনা যায় যে, সেই স্থপতি অন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও বেশ কয়েকটি গির্জা বানিয়েছিলেন!