দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ টিভি অভিনেত্রী মিতা নূরের মৃত্যু রহস্য এখনও অজ্ঞাত। তবে এ ঘটনায় তার স্বামী শাহানূর রহমান রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
আজ (সোমবার) ভোরে রাজধানী গুলশান-২ এর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর অ্যাপার্টমেন্টেই শাহানূরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
টিভি অভিনেত্রী মিতা নূরের এই ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা তার রহস্য উদ্ঘাটনে সিআইডি বিভাগের ক্রাইমসিন ইউনিটের সদস্যরা বাসার বিছানা, আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। যে ওড়না গলায় পেচিয়ে আত্নহত্যা করেছে মিতা নূর সেটি জব্দ করেছে পুলিশ।
সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, এর আগে মিতা নূরের পরিবারের গাড়িচালক সবুজ জানান, মিতা নূর গতকাল রোববার বাড়ি থেকে কোথাও বের হননি। এর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার দুপুরে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে বাসাবো এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি।
মিতা নূরের পরিবারের গাড়িচালক সবুজ সংবাদ মাধ্যমকে আরও জানান, ওইদিন তিনি মোবাইলে ফোনে স্যারের (স্বামী শাহনূর) সঙ্গে উচ্চস্বরে রাগারাগি করেন। পরে অন্যদের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেন। এরপর বিকেলে পুলিশের একটি ভ্যান নিকেতন অফিসে ম্যাডামের কাছে আসে।
তবে কী কারণে পুলিশ অফিসে এসেছিল তা জানাতে পারেননি তিনি।
অপরদিকে, মিতা নূরের বাবা ফজলুর রহমান তার মেয়ে মৃত্যুর জন্য স্বামী শাহানূরকেই দায়ী করেছেন।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশান-২-এর ১০৪ নম্বর রোডের ১৬ নম্বর হোল্ডিংয়ের ‘প্রাসাদ লেকভ্যালি’ অ্যাপার্টমেন্টের ৬ তলার বাসা থেকে অভিনেত্রী মিতা নূরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিতা নূরের লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে কর্তব্যরত পুলিশ কিছু বলেনি। পুলিশ বলেছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে সময় হলে সবকিছুই জানা যাবে।