দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বর্ণের খোঁজে নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। আর সেই খনি ধ্বসে ৩০ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব এলাকাতে।
স্বর্ণের খোঁজে নদীর তলদেশে সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছে। আর সেই খনি ধ্বসে ৩০ জন নিহত হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব এলাকাতে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায়, আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব এলাকার একটি স্বর্ণখনি ধ্বসে কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এই ঘটনায় অন্তত আরও ৭ জন আহত হয়েছে। গত রবিবার আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশের কোহিস্তান জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য স্থানীয় গ্রামবাসীরা একটি নদীর তলদেশে ২২০ ফিট গভীরে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খনিতে নামেন। ওই সুড়ঙ্গটি হঠাৎ ধ্বসে পড়লে তারা নিহত হন। গ্রামবাসীরা জানান, ওই স্থানটি খননের জন্য এক্সক্যাভেটর বা বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করার সময় খনিটি ধ্বসে পড়ে।
জানা গেছে, আফগানিস্তানে প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ বিদ্যমান। তবে সেখানকার বেশিরভাগ খনিই পুরনো। তাছাড়া সেগুলো সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে।
এই ঘটনাটি নিয়ে প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র নিক মোহাম্মদ নাজারি বার্তা সংস্থাকে বলেছেন, ‘গ্রামবাসীরা কয়েক দশক ধরেই এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এবং এদের ওপর সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণও নেই।’
নিক মোহাম্মদ নাজারি বলেছেন, সেখানে উদ্ধারকর্মীদের একটি দল পাঠানো হয়েছে। তবে গ্রামবাসীরা ইতিমধ্যেই ওই স্থান হতে মৃতদেহ সরিয়ে ফেলা শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদের বেশিরভাগই তালেবানদের সঙ্গে লড়াইয়ের কারণে আরোহণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। যে কারণে গ্রামবাসী ও তালেবানরা খনি হতে অবৈধভাবে সম্পদ উত্তোলন করে থাকে, যা তাদের আয়ের অন্যতম একটি উৎস। তালেবানদের নিধন করতে আন্তর্জাতিক বিশেষ করে মার্কিনী বাহিনীর অভিযান চলেছে দীর্ঘদিন পূর্ব হতে। মার্কিনী বাহিনীর কাজ ছিলো তালেবানদের উৎখাত করা। যে কারণে দেশটির অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়েছে। দেশটির জীবন যাত্রার মানও অনেক নেমে গেছে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশের অর্থনীতি পূর্নদ্ধারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। যেসব প্রাকৃতিক সম্পদ দেশটিতে রয়েছে সেগুলোও উদ্ধারের ব্যবস্থা করা দরকার। তবে সেগুলো করতে হবে সরকারি তত্তাবধানে এবং সঠিক নিয়মে। তাহলে ওইসব প্রাকৃতিক সম্পদ দেশটির অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।