দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পৃথিবীতে অনেক দ্বীপ রয়েছে। সেসব দ্বীপের মধ্যে এক একটির রয়েছে এক এক ধরনের ঐতিহ্য। আজ রয়েছে রহস্যময় এক দ্বীপ ‘ফিংগালস কেভ’ এর গল্প।
পৃথিবীতে অনেক দ্বীপ রয়েছে। সেসব দ্বীপের মধ্যে এক একটির রয়েছে এক এক ধরনের ঐতিহ্য। আজ রয়েছে রহস্যময় এক দ্বীপ ‘ফিংগালস কেভ’ এর গল্প।
স্কটল্যান্ডের অদূরে উত্তাল সমুদ্রে স্টাফা দ্বীপপুঞ্জে এই দ্বীপ ‘ফিংগাল’স কেভ’র অবস্থান। কেও বাস করে না এই দ্বীপে। নাবিকরা তাকে দেখছে হাজার বছরেরও অনেক বেশি সময় ধরে। কোনো এক সময় ‘সমুদ্র নেকড়ে’ ভাইকিংরা এই দ্বীপের নাম রাথে ‘ফিংগাল’স কেভ’।
বলা যায় প্রকৃতির আশ্চর্য এক খেয়াল। যে কারণে ‘ফিংগাল’স কেভ’-দ্বীপের ভেতরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য খিলান। এই বিষয়ে ভূতত্ত্ববিদরা মনে করেন, আজ হতে প্রায় ৬ কোটি বছর পূর্বে লাভা হতে এই গুহার সৃষ্টি হয়েছিলো। এর গলিত পাথর খড়িমাটির ওপর দিয়ে যাওয়ার কারণে গুহাটির এই বিশেষ আকৃতি পায়।
আবার আয়ারল্যান্ডের ‘জায়ান্ট’স কজওয়ে’ নামে অপর স্থানের সঙ্গেও এর আশ্চর্যজনক মিল রয়েছে। যদিও ভূতত্ত্ববিদদের ধারণা মতে, এদের মধ্যে এই মিল নাকি আপতিক নয়। তবে তাদের ধারণা হলো, এই দুই প্রাকৃতিক বিস্ময়ের মধ্যে যথেষ্ট যোগসূত্র রয়েছে। তারা মনে করেন যে, একই লাভাস্রোত হতে এই দুই গুহার সৃষ্টি হয়েছিলো। এমনকি দু’টি গুহার সঙ্গে সংযোগও ছিল বলে উপকথা রয়েছে। পরে সেই সেতু বন্ধন নাকি ধ্বংস হয়ে যায়। আসলে প্রকৃত ঘটনা কি তা কেও আজ পর্যন্ত রহস্যভেদ করতে পারেনি।