দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সন্তানকে পড়ায় মনোযোগী করতে সবাই চায়। নিজের সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে সবাই চায়। তবে অনেক সময় ছোট ছেলে-মেয়েরা পিতা-মাতার কথা একেবারেই শুণতে চায় না।
এমন নানা সমস্যা সামাধানে আপনি নিচের কয়েকটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। জেনে নিন বিষয়গুলো:
# সন্তান কিছুটা বড় না হওয়া পর্যন্ত পড়তে বসলে তার সামনেই থাকতে হবে। এমন একটা সময় তার পড়ার জন্য বরাদ্দ করতে হবে, যাতে করে অফিস সামলে সেই সময়টা আপনিও বাড়িতে সন্তানের কাছেই থাকতে পারে । সামনে থাকলে কোথায় ঘাটতি সেই বিষয়গুলো বোঝা অনেক সহজ হবে আপনার জন্য।
# যাদের বয়স খুব কম যেমন শিশুর ক্ষেত্রে ছবি ও ব্লকের সাহায্য নিন। পড়ার বিষয়টা ছবি এঁকে বা প্রয়োজনে আলাদা আলাদা রং ব্যবহার করে বোঝাতে হবে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে ভিজ্যুয়াল কোনও দৃশ্যও খুব কাজে আসতে পারে। তাই ইতিহাস বা নাটক বোঝাতে বসলে সেই ঘটনার উপর নির্মিত কোনও নাটক কিংবা সিনেমার দৃশ্যও দেখাতে পারেন শিশুকে। এতে মনে থাকবে অনেক বেশি। তবে সাহিত্য নির্ভর হলে তবেই তা দেখাতে হবে।
# সন্তান যা পড়ছে সেটি আপনাকে পাল্টা বোঝাতে বলুন। এটা করতে সক্ষম হলেই বুঝবেন, পড়া বুঝতে বা মনে রাখতে তার তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
# পড়া বুঝে লিখে ফেলতে বলুন। লিখে ফেললে সহজেই মনে রাখতে পারবে সেটি।
# ইতিহাস বা সাহিত্যকে গল্পের ছলে বুঝিয়ে বলুন আপনার সন্তানকে। মনে রাখা যায় এমন কিছু কৌশলও রয়েছে। যেমন- কোনও কোনও সাল-তারিখ কিংবা বানান, রসায়নের পর্যায় সারণী- এ সব মনে রাখার সহজ কিছু কৌশলগত ফর্মুলা রয়েছে। নেট থেকেও সে সব জানা যেতে পারে।
# শিশু একাগ্র না হলে তাকে কখনও একটানা পড়াবেন না। সন্তানের ওতে মনঃসংযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বরং পড়ার মাঝে মাঝে ওর পছন্দের কিছু করতে দিতে হবে। এতে আনন্দও পাবে, মন ভালো রেখে পড়লে মনে রাখতেও পারবে খুব সহজে।
# পড়া পারলে এই কিনে দেবো, ওই কিনে দেব এমন লোভ দেখানো ছোট হতেই বন্ধ করুন। এতে মনঃসংযোগ তো বাড়েই ন বরং ওর মধ্যে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্যের প্রতি দায়বদ্ধতা কখনও আসে না। শিশু যা করে, তখন তা পুরস্কারের লোভে করে থাকে।