দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্ণবাদ নিয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তবে এইসব চলচ্চিত্রগুলো সবই হলিউডে নির্মিত হয়েছে। আজ দেখে নিন বর্ণবাদ নিয়ে হলিউডের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি চলচ্চিত্র সম্পর্কে।
এ বছর সেরা চলচ্চিত্রের অস্কার জিতে নিয়েছে ‘গ্রিন বুক’। তবে বর্ণবাদ নিয়ে এই প্রথম কোনো ছবি আলোড়ন সৃষ্টি করলো তা নয়। একই ইস্যুতে হলিউডে এর আগেও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এবং প্রশংসা ও পুরস্কারও জিতেছে।
২০১৯ সালের সেরা ছবি হলো গ্রিন বুক
পিটার ফ্যারেলি পরিচালিত ‘গ্রিন বুক’ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে বাস্তব কাহিনীর উপর ভিত্তি করে। ভিগো মোর্টেনসেন একজন গাড়ি চালকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যিনি পিয়ানিস্ট মাহেরসালা আলীকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ রাজ্যগুলোতে ঘুরে বেড়ান। তার কাছ থাকে একটি সবুজ রঙের বই, যেখানে সেসব রেস্তোরাঁ ও মোটেলের তালিকা রয়েছে, যেগুলো কেবল কৃষ্ণাঙ্গদের জন্যই।
‘ব্ল্যাক প্যান্থার’
‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ চলচ্চিত্রটিও বহুল আলোচিত। এ বছরে অস্কার পাওয়া চলচ্চিত্রের মধ্যে এটি হলো তৃতীয় ছবি, যা বর্ণবাদের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৮ সালে মার্ভেলের চলচ্চিত্র ‘ব্ল্যাক প্যান্থার’ প্রথমবারের মতো কৃষ্ণাঙ্গ সুপারহিরোদের জনসমক্ষে আনেন।
‘ব্ল্যাকক্ল্যান্সম্যান’ এর জন্য অস্কার
বেস্ট অ্যাডাপটেড স্ক্রিনপ্লে’র জন্য এ বছর অস্কার জিতেছে এই ছবিটিও। যেটাতে মূলত বর্ণবাদকেই উপজীব্য করা হয়েছে। পরিচালক স্পাইক লি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করেই এই চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন। ৭০ এর দশকে একটি গ্যাং-এর কর্মকাণ্ড তদন্ত করেন একজন কৃষ্ণাঙ্গ পুলিশ অফিসার। এই ঘটনা নিয়েই সিনেমাটির কাহিনী গড়ে উঠেছে।
‘মিসিসিপি বার্নিং’
১৯৮৮ সালে অ্যালেন পার্কারের মুভি হলো এই ‘মিসিসিপি বার্নিং’। এই চলচ্চিত্রটি তিন সমাজকর্মীর অন্তর্ধানের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে।
‘ইনভিকটাস’
২০০৯ সালে ইস্টউড দ্বিতীয়বারের মতো বর্ণবাদকে তাঁর চলচ্চিত্রের বিষয় হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন। ‘ইনভিকটাস’ খেলা নিয়ে একটি কাহিনী, যেখানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় রাগবি দলের গল্প বলেছেন এর কাহিনীতে। জার্মান ভাষায় এই চলচ্চিত্রের নাম ‘শত্রুরা যেভাবে বন্ধু হলো’৷ এই চলচ্চিত্রটিতে নেলসন ম্যান্ডেলার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মর্গ্যান ফ্রিম্যান।
‘দ্য বাটলার’
বর্ণবাদ নিয়ে শিক্ষণীয় একটি চলচ্চিত্র হলো ‘দ্য বাটলার’। ২০১৩ সালের এই ছবিতে ফরেস্ট হোয়াইটেকার ও অপরাহ উইনফ্রে অভিনয় করেছেন। এই চলচ্চিত্রটিতে আফ্রো-অ্যামেরিকান বাটলার ইউজেন অ্যালেন-এর গল্প বলা হয়েছে, যিনি ৮ জন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অধীনে কাজ করেছিলেন।
‘টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেভ’
২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিলো এই ‘টুয়েলভ ইয়ার্স আ স্লেভ’ চলচ্চিত্রটি। এটি সে বছর সেরা ছবির অস্কার জিতে নেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীতদাস প্রথা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি। ব্রিটিশ পরিচালক স্টিভ ম্যাককুইন এই চলচ্চিত্রে দুর্দান্ত অভিনেতাদের দিয়ে অভিনয় করিয়েছিলেন।
‘আই অ্যাম নট ইওর নিগ্রো’
গত কয়েক দশক ধরে বলিউডে বর্ণবাদকে ইস্যু করে চলচ্চিত্র ও তথ্যচিত্র নির্মাণ হয়েছে। হাইতির পরিচালক রাউল পেক ২০১৬ সালে অসাধারণ একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন তার নাম হলো ‘আই অ্যাম নট ইওর নিগ্রো’৷
২০১৭ সালের সেরা ছবি হলো ‘মুনলাইট’
২০১৭ সালের সেরা ছবি হলো ব্যারি জেনকিন্স পরিচালিত ‘মুনলাইট’। এই চলচ্চিত্রটি আফ্রো-অ্যামেরিকান এক ব্যক্তির গল্পকে তিনটি অধ্যায়ে দেখানো হয়েছে। এই ছবির সিনেমাটিক কাজ সত্যিই অসাধারণ। যে কারণে কোনো ধরণের মেলোড্রামা ছাড়াই এই চলচ্চিত্রের মূল উপজীব্য উপস্থাপিত হয়েছে।