দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথম মরক্কোর নাগরিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ৭টি পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করতে চলেছেন বুশরা বাইবানু নামে এক নারী। অসীম সাহসী এই নারী নতুন প্রজন্মের নারীদেরকে ‘আত্মবিশ্বাসী হতে সাহস যোগাতে’ চান।
প্রথম মরক্কোর নাগরিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন মহাদেশের ৭টি পর্বতশৃঙ্গে আরোহণ করতে চলেছেন বুশরা বাইবানু নামে এক নারী। অসীম সাহসী এই নারী নতুন প্রজন্মের নারীদেরকে ‘আত্মবিশ্বাসী হতে সাহস যোগাতে’ চান।
৪৯ বছর বয়সী বাইবানু বলেছেন, ‘ইচ্ছাশক্তি এবং অধ্যাবসায়ের বলে আপনি সেখানে পৌঁছাতে পারবেন যেখানে আপনি যেতে চান।’
কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি এন্টার্কটিকার মাউন ভিনসনের শীর্ষে আরোহণ করেছেন। ৮ বছর চেষ্টা চালিয়ে বাইবানু ৪ হাজার ৮৯৭ মিটার পর্বতটির শীর্ষে আরোহণ করেন বলে জানিয়েছেন সংবাদ মাধ্যমকে। এই সময় বাইবানু বিশ্বের প্রতিটি মহাদেশের শীর্ষ পর্বতশৃঙ্গে আহরণের জন্য বিশ্ব ভ্রমণও করেন। এই নারীর বাড়ি মরক্কোর রাজধানীর পার্শ্ববর্তী সালেতে।
বাইবানু বলেন, ‘একজন মরোক্কান এবং নারী হিসেবে আমি সত্যিই গর্বিত। ভিনসনের শীর্ষে উঠে বাইবানু তার দেশের পতাকা উত্তোলন করেন। তখন সেখানকার তাপমাত্রা ছিল মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১ জানুয়ারি পর্বত জয় করার পর ইউএন উইম্যান মাগরেব টুইটারে জানান যে, ‘ভিনসন জয় করার পর বাইবানু নারী এবং শিশুদের ওপর সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তার সমর্থন অব্াংহত রাখতে চান।’
মাথায় হিজাব এবং কালো রঙের শার্ট পরিহিতা বাইবানু পর্বতকে ‘একটি দারুন বিদ্যালয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
মরক্কোর নাগরিক বাইবানু বলেন, পর্বতগুলো আমাকে ‘অদম্য সাহস, আশা, অধ্যবসায়, দৃঢ় সংকল্প’ শিক্ষা দিয়ে থাকে।
এই অদম্য সাহসী নারী বাইবানু একজন সরকারি প্রকৌশলী। ৭টি পর্বতশৃঙ্গ আরোহণের খরচ বাবদ তার সঙ্গে ছিল ২০ লাখ দিরহাম। তিনি দেশের বিভিন্ন স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্বতারোহণের ব্যাপারে কথাও বলেন। তিনি মরক্কোর পর্বত পর্যটন উন্নয়নে প্রচারণা চালিয়েন। বিশেষত তুবকাল ন্যাশনাল পার্কের উন্নয়নে এবং নিরাপত্তা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন এই মরক্কোর নাগরিক।
গত ডিসেম্বর মাসে মরক্কোতে পর্বতারোহণ করতে এসে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দুই নারী খুন হয়। এই বিষয়ে বাইবানু বলেন, ‘আমার দেশ এই ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে কখনও পছন্দ করে না। আমার দেশ শান্তি এবং সহিষ্ণুতার দেশ। তাই কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা কখও প্রশ্রয় দিই না। আমার দেশও সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেয় না।’