দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার এক সিনেটরের বর্ণবাদী মন্তব্যের প্রতিবাদে তার মাথায় ডিম ভেঙে রাতারাতি বিখ্যাত বনে যাওয়া সেই কিশোর ‘এগ বয়’কে এবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে!
ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্ণবাদী মন্তব্য করা সিনেটর ফ্রাসার অ্যানিংকে বরখাস্তের দাবিতে রাস্তায় নামা আন্দোলনকারীদের অনেকের কাছ থেকেই ‘এগ বয়’কে এবার বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে!
খবরে বলা হয়, সিনেটরের মাথায় ডিম ভাঙা কিশোর উইল কনোলিকে ‘এগ বয়’ হিসেবে উল্লেখ করে অনেক মেয়ে আন্দোলনকারী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। এমনই এক আন্দোলনকারীর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘আমি ‘এগ বয়’কে বিয়ে করবো।’
আরেক নারীর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল— ‘‘এগ বয়’রা তখনই এগমেন হয়ে যায় যখন তারা বর্ণবাদী ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করে।’
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দু’টি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর এই ঘটনায় জন্য মুসলমানদেরই দোষারোপ করে বক্তব্য দেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রাসার অ্যানিং। গত শুক্রবারের ওই হামলায় এই পর্যন্ত ৫০ নিহত হয়েছেন।
হামলার পর ওইদিনই এক বিবৃতিতে সিনেটর অ্যানিং বলেন যে, নিউজিল্যান্ডের রাস্তায় রক্ত ঝরার প্রকৃত কারণ হলো তাদের অভিবাসন কর্মসূচি, যা মুসলিম উগ্রবাদীদের অভিবাসনের প্রথম স্থান হিসেবে সুযোগ করে দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। তিনি আরও বলেন, বরাবরের মতোই বামপন্থি রাজনীতিবিদ এবং সংবাদমাধ্যম আজ যে হামলা হয়েছে তার পেছনে অস্ত্র আইন বা যারা জাতীয়তাবাদী মনোভাব ধারণ করেন তাদেরকে দায়ী করতে ব্যস্ত হয়ে যাবে। যদিও এসবই হলো ফালতু কথা।
তারপর শনিবার মেলবোর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন অ্যানিং। এই সময় ১৭ বছরের উইল কনোলি স্মার্টফোন হাতে পেছনে দাঁড়িয়ে অ্যানিংয়ের বক্তব্য রেকর্ড করছিলেন। এক পর্যায়ে অ্যানিংয়ের মাথায় ডিম ভেঙে দেন কনোলি। বিস্মিত অ্যানিং দ্রুত পেছনে ফিরে কনোলির গালে চড় মারতে থাকেন। কনোলি পাল্টা আঘাত করতে গেলে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতিও শুরু হয়। এই সময় নিরাপত্তাকর্মীরা ওই কনোলিকে আটক করে। তবে এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়ে, তারপর থেকেই কনোলি ‘এগ বয়’ নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
সিনেটরের মাথায় ডিম ভেঙে আটক হওয়া কিশোর উইল কনোলিকে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এএপি) এক খবরে বলা হয়, ফ্রাসার অ্যানিংয়ের মাথায় ডিম ভাঙার ঘটনায় আটক কনোলিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না দিয়েই তাকে ছেড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ।