দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেনকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার দাবি উঠেছে। ইতিমধ্যেই দুটি পিটিশনও করা হয়েছে।
একটি পিটিশন করা হয়েছে চেঞ্জ ডট অর্গ (Change.org)-এ। অপরটি করা হয়েছে ফরাসি ওয়েবসাইট আভাজ ডট অর্গ (AVAAZ.org)-এ। অনলাইনে এই দুটি পিটিশনে ইতিমধ্যে স্বাক্ষর করেছেন কয়েক হাজার মানুষ। খবর অনলাইন নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড এর।
গত ১৫ মার্চ (শুক্রবার) দেশটির ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে জুমার নামাজের সময় নামাজরত অবস্থায় মুসল্লিদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে ৫০ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসী ব্রেনটন টেরেন্ট। এরপর পরিস্থিতি যেভাবে সামলেছেন প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন সেজন্য তাঁকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার এই দাবি তোলা হয়েছে।
গত সপ্তাহে পিটিশন করা হয়েছে চেঞ্জ ডট অর্গে। এতে অনলাইনে কমপক্ষে ৩ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। অপরদিকে ফরাসি সাইট আভাজ ডট অর্গে স্বাক্ষর করেছেন কমপক্ষে এক হাজার মানুষ।
ফরাসি সাইটে লেখা হয়েছে যে, ক্রাইস্টচার্চে বিয়োগান্তক ঘটনার পর, উপযুক্ত, উন্মুক্ত এবং শান্তিপূর্ণভাবে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন, আমরা আশা করি তার জন্য আগামীতে শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার তার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ধারণা করা হচ্ছে যে, ফরাসি সাইটে এই আবেদনটির উদ্যোক্তা ফরাসি খ্যাতিমান কবি ড. খাল তোরাবুলি। নিউজিল্যান্ড অনলাইন হেরাল্ড লিখেছে, গত সপ্তাহের ওই অনাকাঙ্খিত ঘটনার পর দেশকে যেভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন জাসিনদা তার জন্য সারাবিশ্ব তার প্রশংসাও করেছে। তার এই কাজের স্বীকৃতি হিসেবে দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় তাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তাতে একজন মুসলিম নারীকে তিনি আলিঙ্গন করছেন এমন একটি ছবি ব্যবহার করা হয়। মুসলিমদের প্রতি তিনি যে আন্তরিক সহানুভূতি ও সমর্থন দেখিয়েছেন তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ। বলেছেন, এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের ১৫০ কোটি মুসলিমের শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা।
ওদিকে জাসিনদার প্রশংসা করে নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করা হয়েছে। এর শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘আমেরিকা ডিজার্ভস এ লিডার অ্যাজ গুড অ্যাজ জাসিনদা আরডেন’। অর্থাৎ জাসিনদা আরডেনের মতো একজন উত্তম নেতা দাবি করেছে আমেরিকা। এতে বলা হয় যে, সন্ত্রাসের বিষয়ে যেভাবে পদক্ষেপ নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিনদা আরডেন তার কাছ থেকে বিশ্বের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আরও বলা হয়, আরডেন তার দেশের ওই এলাকার মানুষদের ক্ষোভের কথাও শুনেছেন। মাত্র কয়েক দিনের মাথায় তিনি সামরিক ধরনের স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের বিষয়ে এক ঘোষণা দিয়েছেন। বলেছেন, এই অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হবে।