দি ঢাকা টাইমস ডেস্ক।। বর্তমানে সবচেয়ে মারাত্মক একটি রোগ হচ্ছে ডায়াবেটিস। এই রোগে একবার আক্রান্ত হলে সহজে নিরাময় করা যায় না। তাই আগে থেকেই এর জন্য নানা সতর্কতা গ্রহণ করতে হয়। ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকে তাদের পা। সামান্য সক্রমণ থেকেই হতে পারে বড় ধরণের সমস্যা। তাই আগে থেকেই পায়ের প্রতি যত্নবান হওয়া জরুরী। আজ আমরা জানবো কিভাবে ডায়াবেটিস রোগীরা পায়ের যত্ন নিবেন।
১। বাইরে থেকে ঘরে ফিরে পায়ের দিকে নজর দিন। কোন কারণে পায়ের কোথাও কেটে গিয়েছে কি না অথবা পায়ের কোথাও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে কি না তা লক্ষ্য করুন। কারণ ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর কোথাও কেটে গেলে তা সহজে সারতে চাই না। তাই আগে থেকে সেই ক্ষত জায়গার ভাল করে পরিচর্চা না করালে বড় ধরণের ক্ষতি হতে পারে।
২। কখনই খালি পায়ে বাইরে যাবেন না। কারণ ডায়াবেটিস একটি হরমন জনিত রোগ। আর এই রোগ ধীরে ধীরে স্নায়ুকোষকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ফলে অনুভুতি ক্ষমতা কমে যায়। যার ফল স্বরুপ আপনার পায়ের কোথাও কেটে গেলেও আপনি সহজে বুঝতে পারবেন না। তাই খালি পায়ে বাইরে যাওয়া ঠিক নয়।
৩। পায়ের মাপে জুতা পড়া উচিৎ। একটু বড় হলেও ভাল কিন্তু কোন অবস্থায় ছোট জুতা পরিধান করা যাবে না। ছোট জুতা আপনার পায়ে ফোস্কা পড়া সহ নানা ধরণের ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষত সহজে সারতে চাই না, তাই সামান্য ফোস্কা থেকেও বড় ধরণের ক্ষত সৃষ্টি হতে পারে।
৪। ডায়াবেটিস রোগীদের জুতা ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিকাল সময়টা বেছে নেওয়া উচিৎ। কারণ বিকালের দিকে পা ফুলে থাকে। তাই বিকেলে জুতা কিনলে তা ছোট হওয়ার উপায় নেই। অথচ সকালে জুতা কিনলে বিকেলে তা পায়ে ঠিকমত নাও লাগতে পারে।
৫। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে কুসুম গরম পানি দিয়ে পা ধুয়ে নিন। তারপর নরম কাপড় দিয়ে ভাল করে পা মুছে ঘুমাতে যান। এতে আপনার পা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে।
৬। নিয়মিত পায়ের নখ কাটুন। নখ বেশি বড় হলে পায়ের কোথাও আঘাত প্রাপ্ত হতে পারেন অথবা নখের কোণা বেড়ে চামড়ার মধ্যে ঢুকে যেতে পারে।
৭। নিয়মিত পায়ের ব্যায়াম করতে হবে। নিয়মিত পায়ের ব্যায়াম করলে পায়ের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে এবং স্নায়ু কোষ ঠিকঠাক কাজ করবে। ফলে পায়ের নানা সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়া সম্ভব হবে।
এছাড়া কোন কারণে পায়ের ত্বকের রং পরিবর্তন দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।