দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে চরম তোপের মুখে পড়েছেন সাফা কবির। এবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও সাফা কবিরের সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও তিনি এই বিষয়ে অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন।
অনুশোচনা প্রকাশ করে সাফা কবির বলেছেন, আল্লাহ পরম দয়ালু এবং ক্ষমাশীল, তিনি নিশ্চয়ই আমাকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু তার আগেই যা হবার তাই হয়েছে। দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এমন একটি বিধর্মী মন্তব্য করার কারণে অনেকেই তার বিরুদ্ধে চরমভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দেশে-বিদেশে তার জনপ্রিয়তা একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে। বরং উল্টো তার বিরুদ্ধে চলে গেছেন অনেকেই।
টেলিভিশন নাটকের একজন শীর্ষ বাংলাদেশী অভিনেত্রী ও মডেল হলেন সাফা কবির। চলতি সপ্তাহে একটি প্রাইভেট রেডিও স্টেশনে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করে বসেন তিনি। তিনি বলেন, মৃত্যুর পরের জীবনে তিনি নাকি বিশ্বাস করেন না!
সাফার এমন মন্তব্য ইতিমধ্যেই ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দেশীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম এই নিয়ে সংবাদ প্রকাশও করেছে। একই বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও খবর হয়েছেন সাফা কবির।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল এর অনলাইন ভার্সনে সাফাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, নাস্তিকতা নিয়ে মন্তব্যের জন্য বাংলাদেশী অভিনেত্রী সাফা কবীরকে দেশটিতে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়েছে। দেশটিতে নাস্তিক পরিচয় থাকার অভিযোগে বেশ কয়েকজনকে হত্যাও করা হয়।
ডেইলি মেইলের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের একটি প্রাইভেট রেডিও স্টেশনে ইন্টারভিউ দেন সাফা কবীর। ওই ইন্টারভিউয়ে তিনি মন্তব্য করেন, ‘মৃত্যুর পরের জীবন আমি বিশ্বাস করি না। প্রকৃতপক্ষে, আমি যা দেখি না, তা বিশ্বাস করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বর্গে ও নরক প্রসঙ্গে কেও কেও তাঁদের মুসলিম বিশ্বাস প্রত্যাখ্যান করেছেন।’
বলা হয়েছে, সাফার ওই মন্তব্যের খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। ভাইরাল হয় ইন্টারভিউয়ের সেই ফুটেজটি। নানা বিরুপ মন্তব্য করে ব্যবহারকারীরা। এসব মন্তব্যের অধিকাংশই ছিলো তাঁর বিরুদ্ধে।
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, নাস্তিকতা বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে নিষিদ্ধ একটি বিষয়। গত কয়েক বছরে সেখানে নাস্তিক পরিচয় থাকার অভিযোগে প্রায় ডজন খানেক মানুষকে নিষ্ঠুরভাবে আক্রমণ ও হত্যা করেছে সন্দেহভাজন ইসলামী চরমপন্থিরা। সে কারণে অনেক নেতৃস্থানীয় নাস্তিকরা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে নির্বাসনে বসবাস করছে।
যদিও মঙ্গলবার তিনি ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন। এতে নাস্তিক পরিচয়কে অস্বীকার করছেন এই অভিনেত্রী নিজেকে। ডেইলি মেইল প্রতিবেদনে সাফার বেশ কয়েকটি ছবিও প্রকাশ করে।