দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবারের রমজান শুরু থেকেই প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পড়েছে। প্রায় ১৫ হতে ১৬ ঘণ্টা পানি পান না করার কারণে অনেকের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। রমজানে পানিশূন্যতা এড়ানোর কয়েকটি উপায় জেনে নিন।
রমজানে পানিশূন্যতা বিশেষ করে বয়স্ক, শিশু, ডায়াবেটিস ও কিডনির অসুখে যারা ভূগছেন তাদের মধ্যে এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। রমজানে পানিশূন্যতা হলে শরীরে কিছু উপসর্গও দেখা দেয়। যেমন: অতিরিক্ত মুখ এবং ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদি নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময় পানিশূন্যতা এড়াতে হলে কিছু কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হবে।
# শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পানির বিকল্প নেই। সেহরি এবং ইফতার মিলিয়ে কমপক্ষে ৮ হতে ১২ গ্লাস পানি পান করুন।তাছাড়া ইফতারে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে হলে যেসব ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে যেমন শসা, তরমুজ ও আঙ্গুর ইত্যাদি ফল খেতে পারেন।
# সেহরি বা ইফতারে অতিরিক্ত মসলা ও লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলায় ভালো। কারণ এসব খাবার শরীরে আরও অতিরিক্ত পানির চাহিদা তৈরি করে থাকে।
# সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডোনাট, পেস্ট্রি কিংবা এই ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাবার শরীরে পানির চাহিদা আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই সেহরিতে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরের শক্তি কমে যেতে পারে। সে কারণে রমজানের সময় অতিরিক্ত চিনি দিয়ে তৈরি মিষ্টি খাবার খাওয়া হতে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। বরংচ এর পরিবর্তে মিষ্টি ফল খেতে পারেন।
# ইফতার ও সেহরিতে কমবেশি সবাই চা-কফি পান করেন। তবে অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার খেলে ঘন ঘন পানি পিপাসা পেতে পারে। তাছাড়া ইফতার বা সেহরিতে ধূমপান করলেও ঘন ঘন মুখ শুকিয়ে যেতে পারে।
# যেহেতু এবারের গরমে ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ছুঁয়েছে সে কারণে যতোটা সম্ভব রোদ এড়িয়ে চলায় ভালো। কারণ অতিরিক্ত ঘামে শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি হয়ে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। সুস্থ থাকতে হলে ইফতারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে খাবারের তালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবারও আপনাকে যোগ করতে হবে। উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে যতো রোদ বা গরম পড়ুক আপনি সুস্থ্য থাকতে পারবেন এই রমজানে।