দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যৌতুক প্রথা আমাদের দেশ থেকে প্রায় উঠে গেছে। এখন মানুষ অনেক সচেতন। যে কারণে যৌতুকের বলি আগের থেকে কম হচ্ছে। এবার এমনই এক ব্যতিক্রমি যৌতুকের খবর হলো পাত্রকে লাখ টাকার বই দিলো পাত্রীপক্ষ!
বিয়েতে যৌতুক দেওয়া নেওয়ার কুপ্রথা সমাজে থেকে গেলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক বিয়ের আসরে সৃষ্টি হলো যৌতুক নিয়ে দারুণ এক দৃষ্টান্ত।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে জানা যায়, বিয়েতে যৌতুকের বদলে পাত্রকে লাখ টাকার বই উপহার দিয়েছে পাত্রীপক্ষ। অবশ্য পেশায় শিক্ষক পাত্র কোনো ধরনের যৌতুক নিতে আগ্রহী ছিলেন না। তবে এতো বিপুল পরিমাণ বই উপহার দেখে পাত্র নিজেও চমকে গেছেন।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সোনারপুরের বাসিন্দা সূর্যকান্ত বারিকের সঙ্গে বিয়ে পাকাপাকি হয় পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বেজের। বিয়ে পাকাপাকির হওয়ার সময়ই সূর্যকান্ত বলে দিয়েছিলেন তিনি কোনো রকম যৌতুক চান না।
তবে বিয়ের দিন শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে তিনি হয়ে যান হতবাক। দেখেন বিয়ের আসরের প্রবেশপথে সাজিয়ে রাখা হয়েছে রাশি রাশি সব বই! সেখানে পরিচিত বইয়ের সঙ্গে রয়েছে বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য বইয়ের সংগ্রহ!
মোট এক লাখ রুপির বই ছিল বলে উল্লেখ করে সংবাদ মাধ্যমকে সূর্যকান্ত জানান, ‘আমি সত্যিই বই পড়তে ভালোবাসি। তবে বিয়ে ঠিক হওয়ার সময়ই বলেছিলাম, আমি কোনো রকম যৌতুক নিতে চাই না। তবে তাই বলে এতো বই উপহার পাবো ভাবিনি।’
এই বিষয়ে পাত্রী প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, ‘এ রকম একজন স্বামী পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। আমিও জানতাম তিনি বই পড়তে ভালোবাসেন। আমি নিজেও ছোট থেকে বই পড়তে খুব ভালোবাসি এবং বই উপহারও পেতাম। বাবা যখন আমাকে তার সিদ্ধান্তের কথা জানান, শুনে আমিও খুব খুশি হই।’
এদিকে পাত্রীপক্ষ সূত্রে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে, পাত্রকে দেওয়া উপহারের মধ্যে ছিল প্রায় ১০০০টি বই। কোলকাতার কলেজ স্ট্রিটসহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এসব বই কেনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের বেশ কিছু বইও। সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র থেকে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সবার বই-ই।