দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইসিইউতে থাকা দুর্ঘটনার রোগী ২০ বছর বয়সী ফোরকানকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হলো বাড়িতে। কিন্তু দেখা গেলো সে এখনও জীবিত।
তার এই জীবিত থাকার বিষয়টি জানা জানি হওয়ার পর রীতিমত শোরগোল বাঁধলো। অ্যাম্বুলেন্স হতে ফোরকানকে বের করার সময় আচমকা নড়ে উঠতে দেখা গেলো তাঁর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে।
মুহূর্তে বদলে যায় সেখানকার পরিবেশ। শোকে মূহ্যমান এলাকা হয়ে উঠলো যেনো এক উত্ফুল্ল পরিবেশ। দাফনের প্রস্তুতি বাদ দিয়ে অবিলম্বে ফুরকানকে নিয়ে উত্তরপ্রদেশের রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ছুটে গেলো তার পরিবার। সেখানে গিয়ে দেখা গেলো তখনও তরতাজা ছেলেটির শরীরে প্রাণ ধুকপুক করছে। সঙ্গে সঙ্গেই দেওয়া হলো অক্সিজেন সাপোর্ট।
২১ জুন সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ার পর হতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সা চলছিল ফুরকান নামের ওই ব্যক্তির। তার দাদা মহম্মদ ইরফানের অভিযোগ হলো, ‘হাসপাতালে ওকে আইসিইউতে রাখা হয় ও প্রতিদিন বড় অঙ্কের চার্জ নিতে থাকে ওরা। আমরা ৭ লাখ টাকা ইতিমধ্যেই দিয়েছি। যখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালাম আমাদের আর কোনো টাকা নেই, তখন সোমবার ওরা ফুরকানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন যে, ‘ওকে বাড়ি আনার পর পরিবারের একজন লক্ষ করেন ফুরকানের শ্বাস চলছে। কয়েকজন ওর হাত-পা নড়াতেও দেখলেন। তখনই ওকে আবার হাসপাতালে ভর্তি করি।’
এই ঘটনায় ভারতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. নরেন্দ্র আগরওয়াল।