দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে ইন্টারনেট সুরক্ষার কৌশল শেখাবে গ্রামীণফোন এবং ইউনিসেফ যৌথভাবে। ৪ জুলাই রাজধানীর একটি হোটেলে গ্রামীণফোন, টেলিনর গ্রুপ ও ইউনিসেফ এর মধ্যে একটি অংশীদারিত্ব চুক্তিও স্বাক্ষর করেছে।
ওই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলা হয় যে, ইন্টারনেট শিশুদের জন্য প্রকৃতপক্ষে একটি শক্তিশালী হাতিয়ার যা তথ্য, শিক্ষা, ক্ষমতায়ন ও অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে তাদের বিকাশে সহায়তা করতে পারে। তবে অনুপযুক্ত উপকরণ এবং আচরণের মাধ্যমে ইন্টারনেট শিশুদের সহিংসতা, নিগ্রহ এবং অপব্যবহারের শিকার হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। আর তাই শিশুর অনলাইন সুরক্ষার মাত্রা বাড়ানো এবং জোরদার করা শীর্ষক প্রকল্পটি দেশের ১২ লাখ শিশু-কিশোরকে অনলাইনে নিরাপদ থাকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে।
এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো, বাবা-মায়েদের সংবেদনশীল করে তোলা, কেনোনা ইন্টারনেটে শিশুরা কী ধরনের বিষয়বস্তুর সম্মুখীন হয় তা নিয়ে ভীতির কারণে অনেক বাবা-মাই তাদের সন্তানদের ইন্টারনেট ব্যবহার করতে বাধা দিয়ে থাকেন। এটি শিশুদের ইন্টারনেট হতে উপকৃত হওয়ার সুযোগকে আরও ব্যাহত করে। শিশুদের অনলাইন সুরক্ষায় সহায়তা দিতে এই প্রকল্পের আওতায় ৪ লাখ বাবা-মা, শিক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এই বিষয়ে ইউনিসেফ-এর ডেপুটি রিপ্রেসেনটেটিভ ডারা জনস্টন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে প্রতিটি শিশু যাতে সুরক্ষিত ও সব ধরনের সহিংসতা, নিগ্রহ এবং অপব্যবহার হতে মুক্ত থাকে সেটি নিশ্চিত করতে কাজ করবে ইউনিসেফ। বাংলাদেশের সব শিশুকে অবশ্যই যথাযথ দক্ষতা অর্জন করে নিরাপদে ও উপযুক্ত পরিবেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে সক্ষম হতে হবে। অনলাইন সুরক্ষা সম্পর্কে বাস্তবসম্মত পরামর্শগুলোর প্রাতিষ্ঠানিকরণ করবে ও এগুলো বাংলাদেশে শিশুদের জন্য শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।