দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই বিস্ময়কর খবর বটে। ছেলে শিশুর অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রামবাসীরা তাও আবার দীর্ঘ এক দশক ধরে! সম্প্রতি এমন একটি খবর অনলাইন মাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়েছে।
সত্যিই বিস্ময়কর ঘটনা। একটি ছেলে সন্তানের জন্য গোটা গ্রামই যেনো অপেক্ষা করছে প্রায় ১০ বছর ধরে। কারণ এতো বছরে ওই গ্রামে একটা ছেলে শিশুরও জন্ম হয়নি। যে কটি শিশু জন্ম নিয়েছে তাদের সকলেই মেয়ে শিশু।
এমন একটি ঘটনা ঘটেছে পোল্যাণ্ডের মিজসেস ওড্রাজানস্কি নামের একটি ছোট্ট গ্রামে। ৩০০ বাসিন্দা এই গ্রামটিতে বসবাস করেন। জানা যায়, ২০১০ সালের পর এই গ্রামে কারও কোনো ছেলে সন্তান হয়নি।
ওই গ্রামের বাসিন্দা টমাসজ গোলস্ সংবাদ মাধ্যমকে জানান, একটি ছেলে শিশুর জন্য গ্রামবাসী অনেকদিন ধরেই অপেক্ষা করছেন। তিনি ওই গ্রামেরই একজন নারীকে বিয়ে করেছেন। তাদের দুটি সন্তানই মেয়ে সন্তান।
টমাসজ গোলস্ বলেন, ‘আমিও চেয়েছিলাম আমার একটি ছেলে সন্তান হোক। তবে এই চাওয়াটা যেনো এখন অবাস্তব হয়ে যাচ্ছে। আমার প্রতিবেশীরাও একটি সন্তান হওয়ার পর ছেলে সন্তানের জন্য চেষ্টা করে আসছে। তবে সবারই দুটি করে মেয়ে রয়েছে’।
ছেলে সন্তান জন্ম না নেওয়ার কারণে গ্রামবাসীরা ভবিষ্যতের কৃষিকাজ নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। মাঠের কাজে জনবলের সংকট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছে।
ছেলে সন্তানের আকুলতা এতোটাই প্রবল হয়েছে যে ওই দেশের মেয়র রাজমুন ফ্রিচকো জানিয়েছেনে যে, ও্ই গ্রামে বসবাসরত যে দম্পতির ছেলে সন্তান জন্ম নেবে সেই দম্পতিকে বিশেষ উপহারও দেওয়া হবে।
ওই গ্রামে কেনো এত বছর ধরে কোনও ছেলে সন্তান জন্মায়নি তা নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কেও কেও ওই গ্রামের দম্পতির উচ্চ মাত্রার ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণের জন্য পরামর্শও দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীদের অনেকেই ছেলে সন্তানের আশায় পোল্যাণ্ডের প্রচলিত বিভিন্ন স্থানীয় পদ্ধতিও অনুসরণ করে আসছেন। তারপরও কোনো ফল হচ্ছে না।
মিজসেস ওড্রাজানস্কি নামে ওই গ্রামে যেমন ছেলে সন্তান জন্মাচ্ছে না আবার আরেক পরিসংখ্যান বলছে, পোল্যাণ্ডেও প্রতিবছর ছেলে শিশুর তুলনায় বেশি মেয়ে শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। ২০১৭ সালেও ওই দেশে জন্ম নেওয়া ছেলে শিশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৭ হাজার। অপরদিকে দেশটিতে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৯৬ হাজার জন।