দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গ্রীনল্যান্ডের বরফ অস্বাভাবিক হারে গলার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে এমন তথ্য দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
এক তথ্যে জানানো হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সম্প্রতি গ্রিনল্যান্ডে একদিনেই ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন বরফ গলে পড়েছে, এই তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার সমুদ্র বিষয়ক একটি দল। এমন বরফ গলার বিষয়টি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকলে গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলে পৃথিবীর সব সমুদ্রের পানি উপকূল ছাপিয়ে যাবে বলেও আশংকা করেছেন দলটি।
গ্রীনল্যান্ডে যে পরিমাণ বরফ রয়েছে তা গলে গেলে সমুদ্রের পানির উচ্চতা প্রায় ২৫ ফুট বেড়ে যাবে। যে কারণে পৃথিবীর সব সমুদ্রের পানি উপকূলের সীমানা ছাড়িয়ে প্রবাহিত হবে। এই দ্বীপটিতে দ্রুতগতিতে বরফ গলার কারণে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার সমুদ্রগুলোর পানির পরিমাণ বেড়েছে। বাংলাদেশের মতো উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর হুমকি মধ্যে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
২০১২ সালের কথা। তখন গ্রিনল্যান্ডে ৪০ হাজার কোটি টনের বেশি বরফ গলেছে, যা ২০০৩ সালের চেয়ে প্রায় চার গুণ বেশি। এর মধ্যে সবথেকে বেশি বরফ গলে দক্ষিণ গ্রিনল্যান্ড অঞ্চলে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য এতোদিন ওই অঞ্চলকে মোটেও হুমকি মনে করা হতো না। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পৃথিবীর উষ্ণতা বাড়ছে, যদিও এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। তবে উষ্ণতা বাড়ার হার কতোটা অস্বাভাবিক তা যাচাইয়ের জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
গত ২ আগস্ট ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন টন বরফ গলেছে বলে নাসার একটি গবেষণার রিপোর্টে উঠে এসেছে। পরিবেশ বিপর্যয় কতোটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে তারই উদাহরণ এটি। বাতাস এবং নাসার সমুদ্রবিষয়ক বিজ্ঞানীরা সমুদ্রের উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে গ্রিনল্যান্ডের বরফ গলার হার অনুসন্ধানে কাজ করছেন। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ার প্রভাবেই গ্রীনল্যান্ডে বরফ গলে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াসহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমুদ্রগুলোর পানির উচ্চতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর সব সমুদ্রই একে অন্যের সঙ্গে মিশে রয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়, নাসার গবেষণাগুলো মহাকাশ সম্পর্কিত হবে এমনটাই ধারণা করা হয়ে থাকে। তবে সম্প্রতি মার্কিন এক জরিপে উঠে এসেছে, চিরাচরিত মহাকাশ গবেষণাকে প্রাধান্য না দিয়ে, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব তদারকিও করবে নাসা, এমনটিই প্রত্যাশা মার্কিনীদের।