দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মাঝে-মধ্যেই এমন কিছু খবর আমাদের হতবাক করে। যেমন এবার এমন এক খবর এসেছে যে খবর পড়ে সত্যিই বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। সমুদ্রে ভাসতে দেখা গেছে ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সমান এক পাথর!
মাঝে-মধ্যেই এমন কিছু খবর আমাদের হতবাক করে। যেমন এবার এমন এক খবর এসেছে যে খবর পড়ে সত্যিই বিস্ময়কর মনে হতে পারে। কিন্তু ঘটনাটি আসলেও সত্যি। সমুদ্রে ভাসতে দেখা গেছে ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সমান এক পাথর!
দুই নাবিক অস্ট্রেলিয়ার কাছে একটি প্রকাণ্ড ভাসমান আগ্নেয়শিলার সন্ধান দিয়েছে! প্রশান্ত মহাসাগরে নতুন এবং এই বিশাল পাথরের আবিষ্কারেরকারণে স্বভাবতাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন জীববিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জেরে গ্রেট বেরিয়ার রিফ প্রায় ধ্বংসের মুখে এসে দাঁড়িয়েছিলো। যে কারণে বিলুপ্তির মুখে রয়েছে বহু সংখ্যক সামদ্রিক প্রাণী। তবে এই বিশালাকার আগ্নেয়শিলার সন্ধানে সামদ্রিক জীববৈচিত্রে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করছেন জীববিজ্ঞানীরা।
যে পাথরটির খোঁজ মিলেছে সেই আগ্নেয় পাথরটি সমুদ্রের উপরিভাগে প্রায় ১৫০ কিমি বিস্তৃত। যেটি গোটা ম্যানহাটান শহরটি এই পর্বতের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে অনায়াসে। তাছাড়াও এর বিস্তৃতি সম্পর্কে বলতে গেলে আরও বলা যায়, এটি প্রায় ২০ হাজার ফুটবল মাঠের সাইজের সমান। মনে করা হচ্ছে যে, অগ্ন্যুত্পাতের ফলেই এই বিশালাকার পাথেরর সৃষ্টি হয়েছে। এর গায়ে প্রচুর গর্ত এবং কালো কালো দাগও রয়েছে।
জানা গেছে, গত আগস্ট মাসে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেওয়ার সময় এই দৈত্যাকার পাথরের হদিশ পান অস্ট্রেলিয়ান এক দম্পতি। তারা অনলাইনে জানিয়েছেন যে, আমরা এক পাহাড়ি ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করি। যেখানে বাস্কেটবল হতে মার্বেলের সাইজের পিউমিস পাথর দিয়ে তৈরি শিলাটি মহাসাগরের উপর ভাসমান রয়েছে। চাঁদের আলোয় এবং বোটের স্পটলাইটে এই পাথর স্পষ্টই দেখতে পেয়েছি আমরা।
একই দিনে এবং একই সময় নাসাও এই ভাসমান নয়া পর্বতের হদিশ দিয়েছে। নাসার স্পেস স্যাটেলাইটেও এই বিশালাকার পাথর দেখতে পাওয়া গেছে। একই তথ্য দিয়ে নাসাও সেই ছবি প্রকাশ করে এইদিন। এই ভাসমান বিশালাকার আগ্নেয়পর্বত অস্ট্রেলিয়ার কোরাল রিফের সামদ্রিক জীববৈচিত্রকে অনেকটাই স্বস্তি এনে দেবে বলে মনে করছেন জীববিজ্ঞানী ড. জুটজেলার।