দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মৃত্যু নিয়ে মানুষের গবেষণার যেনো শেষ নেই। মৃত্যুকে মানুষ কখনও জয় করতে পারেনি সেটি বাস্তব সত্য কথা। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে মৃত্যুর পরও মানুষের শরীর নাকি এক বছর নড়াচড়া করে!
মৃত্যু নিয়ে মানুষের গবেষণার যেনো শেষ নেই। মৃত্যুকে মানুষ কখনও জয় করতে পারেনি সেটি বাস্তব সত্য কথা। কিন্তু মৃত্যু নিয়ে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে মৃত্যুর পরও মানুষের শরীর নাকি এক বছর নড়াচড়া করে!
জন্ম নিলেই মৃত্যু অনিবার্য- এই চিরন্তন সত্যটি আমাদের সকলেরই জানা। তারপরও এই মৃত্যু নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ যেনো শেষ হচ্ছে না। নানাভাবে গবেষণা চালিয়ে চেষ্টা করা হচ্ছে মৃত্যু রহস্যের। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, মৃত্যুর পর মানুষের আসলে কী হয়? মানুষ আসলে কোথায় যায়? পরজগত প্রকৃতপক্ষে কেমন? এমন হাজারো প্রশ্ন সবার মনে সব সময় উকি মারে! বিজ্ঞানও এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে দীর্ঘদিন যাবত। আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগে মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে হচ্ছে নানা গবেষণাও। এই বিষয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
অ্যালিস উইলসন নামে অস্ট্রেলিয়ার এক বিজ্ঞানী এবার জানিয়েছেন যে, মৃত্যুর পর অন্তত পক্ষে এক বছরের বেশি সময় ধরে সচল থাকে মানবদেহ। ওই গবেষক প্রায় ১৭ মাস ধরে একটি মরদেহ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই তথ্য দিয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়, অস্ট্রেলিয়ার হেমিস্ফেয়ার শহরের দক্ষিণের দিকে বেশ অনেকটা দূরে অবস্থিত মরদেহের একটি ফার্মও রয়েছে। সেখানে রাখা হয়েছে ৭০টি মরদেহ। এগুলোর একটিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন বিজ্ঞানী অ্যালিসন।
অ্যালিসন এবং তার সহকর্মীদের গবেষণার বিষয় হলো- টাইম ল্যাপস ক্যামেরা ব্যবহার করে যে কোনো মানুষের মৃত্যুর প্রকৃত সময় বের করে আনা। শুধু তাই নয়, ওই সময়টা মরদেহে কীরূপ ক্রিয়া- প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে একটি ধারণা নেওয়া।
বিজ্ঞানী অ্যালিসন জানিয়েছেন যে, মৃত্যুর পর মানবদেহে যে কার্য চলে তা মূলত মানবদেহ পচনের ওপরই নির্ভর করে। বিশেষ করে মরদেহ মমি কিংবা অন্য কোনোভাবে সংরক্ষণ করা হলে সেখানে অঙ্গের সক্রিয়তা ভিন্নতর হতে পারে বলে তিনি মত দেন।
এই গবেষণায় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও গোয়েন্দাদের জন্য ক্রাইম সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন এই বিজ্ঞানী। এই বিজ্ঞানীর দাবি হলো, প্যাথোলজিস্টদের জন্যও বিশেষ সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারে তার এই গবেষণা।