দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সরকারি শুদ্ধি অভিযানে এবার মতিঝিলের চারটি ক্লাব। গতকাল (রবিবার) চালানো মতিঝিলের চার ক্লাবে পাওয়া গেছে টাকা ও মদসহ ক্যাসিনো সামগ্রী।
অবৈধ ব্যবসা বন্ধে রাজধানীর মতিঝিলের চারটি ক্লাবে গতকাল (রবিবার) পুলিশ দিনভর চালিয়েছে অভিযান। রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত আরামবাগ, মোহামেডান, দিলকুশা ও ভিক্টোরিয়া ক্লাবে এই অভিযান চালানো হয়। ক্লাবগুলো থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা, মদ, সিসা, ক্যাসিনো ও জুয়ার সামগ্রী জব্দ করা হয়।
পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন মতিঝিল জোনের এসি মিশু বিশ্বাস।
তিনি বলেন, বিকাল ৩টা হতে একই সঙ্গে আরামবাগ, দিলকুশা, মোহামেডান এবং ভিক্টোরিয়া ক্লাবে অভিযান চালানো শুরু হয়। এইসব ক্লাবের বিরুদ্ধে অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ডিসি আনোয়ার হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এই চারটি ক্লাবে অভিযানের সময় আমরা নগদ টাকা, ডলার ও ক্যাসিনোসহ জুয়ার যাবতীয় সরঞ্জাম উদ্ধার করেছি। এখন আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করবো, কারা এইসব অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত, কারা এর পৃষ্ঠপোষকাতা করছে সেই বিষয়গুলো। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো আমরা। জড়িত যেই হোক না কেনো কাওকে আমরা ছাড় দেবো না। ওই চারটি ক্লাবই সিলগালা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা যায় যে, ভিক্টোরিয়া ক্লাব হতে ক্যাসিনোর সরঞ্জাম এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। টাকা ছাড়াও মদ, সিসাও পাওয়া গেছে। তবে সেখানে ক্লাব কর্তৃপক্ষের কাওকেই পায়নি পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়েছে।
মোহামেডান ক্লাবের ক্যাসিনোতেও জুয়া খেলার সরঞ্জাম এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (মতিঝিল জোন) মোনালিসা বেগম।
অপরদিকে আরামবাগ ও দিলকুশা ক্লাবেও ক্যাসিনো সরঞ্জাম এবং মাদক দ্রব্য পাওয়া গেছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়। তবে কোনো ক্লাব থেকেই কাওকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চারটি ক্লাবেই তালাভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে হয়েছে পুলিশকে।
উল্লেখ্য, এর আগে পুলিশ ধানমণ্ডি ও কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে অভিযান চালায়। সরকার দলীয় লোকজন এইসব অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও সরকারের নির্দেশে এই সব অভিযান চালানো হচ্ছে। সরকারি দলীয় কোনো ব্যক্তি এর সঙ্গে যুক্ত থাকলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে এই অভিযানের পর তাই সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দেশের সুশীল সমাজ। তারা মনে করেন, সরকারের সিদ্ধান্তের ফলেই এমন অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে। মাদকমুক্ত হয়ে দেশ এগিয়ে যাবে সেই প্রত্যাশা আমাদেরও।