দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন আজব শর্ত বোধ হয় আগে কখনও শোনা যায়নি। এবার শোনা গেলো এমন এক আজব শর্ত। আর শর্তটি হলো মাতলামি করলেই ছাগলের মাংস খাওয়াতে হবে গ্রামবাসীকে!
এমন আজব শর্ত বোধ হয় আগে কখনও শোনা যায়নি। এবার শোনা গেলো এমন এক আজব শর্ত। আর শর্তটি হলো মাতলামি করলেই ছাগলের মাংস খাওয়াতে হবে গ্রামবাসীকে!
মাতলামি ঠেকাতে নানা স্থানে নানা শাস্তির বিধান রয়েছে। তবে মাতলামি করলে পুরো গ্রামবাসীকে ছাগলের মাংস খাওয়ানোর শাস্তির বিধান সত্যিই অভিনবই বটে। এমন অভিনব শাস্তির বিধান চালু করলো ভারতের গুজরাটের বনসকণ্ঠার খাতিসিতারা নামক একটি গ্রামে।
কোলকাতার সংবাদ প্রতিদিন’র খবরে বলা হয়, আদিবাসী অধ্যুষিত ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই মদ্যপানে অভ্যস্ত। ২০১৩-১৪ সালে মদ্যপান করে এই গ্রামের বহু মানুষ মারা গিয়েছিলেন। তারপর হতে ওই গ্রামবাসী মদ্যপানের ভয়াবহতার কথা বুঝতে পারেন। তখন তারা বুঝতে পারেন যে, নেশার কুপ্রভাবে সব কিছুই প্রায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মদ্যপানের কারণে ঘরে ঘরে অশান্তিও বাড়ছে। তাছাড়া মদ্যপানের কারণে এমনকি খুন, মারামারির মতো ঘটনাও ঘটছে। ওই ঘটনার পর শিক্ষা নেন গ্রামটির সাধারণ মানুষ। এরপর রীতিমতো আইন করে মদ্যপান বন্ধের দাবি তুলেছেন তারা।
খিমজি দুনগাইসা নামে গ্রামের এক অধিবাসী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘কেও মদ পান করলে সেই মদ্যপ ব্যক্তির কাছ থেকে ২ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। যারা মদ্যপানের পর অশান্তি সৃষ্টি করে তাদের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। আবার জরিমানার পাশাপাশি মদ্যপ ব্যক্তিকে গ্রামের ৭৫০ থেকে ৮০০ জন বাসিন্দাকে খাওয়াতে হয় ছাগলের মাংস। তাতেই কমবেশি ২০ হাজার টাকার মতো খরচ হয় প্রতিটি মাতালদের।’
জানা যায়, জরিমানা চালুর পর হতেই গ্রামটিতে মদ্যপানের সংখ্যা কমছে। গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি হলো, এই শাস্তি চালুর পর হতে প্রতিবছর ওই গ্রামে মাত্র দু-চারজন মদ্যপকে দেখতে পাওয়া যায়, যে সংখ্যা আগে বহুগুণ বেশি ছিল। ২০১৮ সালে মাত্র একজনের মদ্যপের জরিমানা করা হয়েছিলো। তবে এই ধরনের জরিমানার বিধান করার পর কমে যায় মদ্য পানের সংখ্যা। গ্রামটির মানুষরা এই মদ্যপান হতে বিরত থাকছেন প্রায় সকলেই। যারা এই আইন মানছেন না তাদেরকে এমন অভিনব জরিমানা গুণতে হচ্ছে।