দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো কোনো পুরুষ ক্রমেট ছাড়াই নারী নভোচারী দল পাঠিয়ে ইতিহাস গড়লো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা কর্তৃক স্পেসওয়াক বা মহাশূন্যে পদচারণায় নারী দলের এটিই প্রথম অভিযান।
ইতিপূর্বে কোনো নারী মহাকাশচারী স্পেসওয়াকে পা রাখলেও তার সঙ্গে ছিলেন পুরুষ সহকর্মী। ইতিহাস গড়া এই দুই নারীর নাম ক্রিস্টিনা কোচ এবং জেসিকা মির।
বিকল হয়ে যাওয়া একটি পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট প্রতিস্থাপন করতে গিয়ে তারা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের বাইরে ৬ ঘণ্টা সময় কাটান। ইতিপূর্বে আরও চারবার মহাকাশে হেঁটেছেন ক্রিস্টিনা। তবে মিরের জন্য এটিই ছিল প্রথম মহাকাশ মিশন।
জানা যায়, ইস্টার্ন স্ট্যান্ডার্ড টাইম অনুযায়ী গত শুক্রবার সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে এই ইতিহাস সৃষ্টি হয় বলে নাসার পক্ষ হতে জানানো হয়েছে।
নাসা জানিয়েছে, ক্রিস্টিনা প্রথমেই আইএসএসের বাইরে পা রাখেন। এর কিছুক্ষণ পরই পা রাখেন তারই অপর নারী ক্রমেট জেসিকা। আর এর মধ্যদিয়ে মহাকাশ অভিযানে নেওয়া ১৫ তম নারী হিসেবে নিজের নাম লেখালেন জেসিকা।
এই সময় তারা সেখানে ৬ ঘণ্টা অবস্থান করার পর বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক পাল্টান। ফেরার সময় তারা অকেজো হয়ে যাওয়া যন্ত্রটি নিয়েও আসেন। তারা ফিরে আসা পর্যন্ত পুরো প্রোগ্রামটি সরাসরি সম্প্রচার করে নাসা। আগামী ২০২৪ সাল নাগাদ চাঁদে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে নাসার। এই অভিযানের মধ্যদিয়ে নারীদের এক্ষেত্রে বিশেষ উৎসহ যোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায় যে, ক্রিস্টিনা পেশায় একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। অপরদিকে জেসিকা বায়োলজিতে ডক্টরেট করেছেন।
মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো নারী দলকে পাঠানোয় নাসা এবং দুই নারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সরাসরি তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথাও বলেন।
অভিযানে অংশ নেওয়া দুই নারীকে সাহসী ও মেধাবী উল্লেখ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তোমরা মনোবল হারাবে না। গোটা বিশ্বই তোমাদের দেখছে।
উল্লেখ্য যে, ইতিপূর্বে মহাশূন্যে হাঁটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী হলেন ক্যাথরিন সুলিভ্যান। ৩৫ বছর পূর্বে মহাকাশে পা রাখেন তিনি। ক্যাথরিন সুলিভ্যান বলেছেন, মহাকাশচারীদের মধ্যে মহাকাশে হাঁটার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী প্রশিক্ষিত নারী রয়েছে জেনে আমি সত্যিই আনন্দিত। এটি অবশ্যই গর্বের বিষয়।