দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রেহমান খলিলের রচনা ও পরিচালনায় রয়েল টাইগার নিবেদিত (পাওয়ার্ড বাই-ফিজআপ) নাটক ‘ড্রীম অফ লাইফ’ নাটকটি আজ (সোমবার) রাত ১০টায় প্রচার হবে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টিভিতে। তাছাড়াও এই নাটকটি রাত ১টায় দেখা যাবে গ্লোবাল টিভি অনলাইন ইউটিউব চ্যানেলেও।
ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইটের ব্যানারে কাজী রিটনের প্রযোজনায় ‘ড্রীম অফ লাইফ’ নাটকটিতে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও ইশানাসহ আরও অনেকেই।
‘ড্রীম অফ লাইফ’ নাটকের গল্পে আছে: আলো ছায়ার ব্যবধানে হঠাৎ করেই পৃথিবীতে আবির্ভাব হয় ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের। পৃথিবীতে আসার অর্থই হলো জন্মগ্রহণ করা। এই জন্ম যেনো হুবহু মেজর আন্দালিভের পুনর্জন্ম। দীর্ঘ সাধনা ও লালিত স্বপ্নের অবিচল ধ্যানে বিধাতার প্রতি সুদৃঢ় বিশ্বাস মানুষ্যাত্মার জীবনেও হয়তো ঘটে যেতে পারে পরম পাওয়ার সুখ।
মিসেস সেতারার স্বামী মেজর আন্দালিভ স্বাধীনতা যুদ্ধ পূর্বকালীন সময় বাসা হতে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। তিনি জন্মও দিয়ে যাননি কোনো উত্তরসুরির। তার’ই স্ত্রী মিসেস সেতারা যিনি কখনও পাননি সুখের ছোঁয়া। দীর্ঘদিন বিধাতার বরাবর সেজদা কিংবা অবিরাম প্রার্থনায় মগ্ন হতে স্বপ্নের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসে একবার পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেন, তার স্বামীর স্মৃতির সংযোজন পূর্বক একটি বই প্রকাশের বাসনা নিয়ে তিনি এই বিজ্ঞাপন দেন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন পেয়ে নতুন আগমন পাওয়া পৃথিবীতে নির্ঝর নামক ওই ছেলেটি মিসেস সেতারার সঙ্গে দেখা করতে আসলে হুবহু তার স্বামীর মতোই মনে হয় বৃদ্ধার। বিধাতাই কী বৃদ্ধার শেষ জনমে মেজর আন্দালিভকে হাজির করলো এই পৃথিবীতে?
বৃদ্ধার কার্য পরিচালনা করতে গিয়ে নির্ঝরের পরিচয় ঘটে তার খেদমতে থাকা রূপসী বালিকা অধরার সঙ্গে। অধরাই কি বৃদ্ধার যৌবনকাল? অধরার প্রতি ক্রমশ যেনো দুর্বল হয়ে পড়েন নির্ঝর। অধরা বিহীন নির্ঝর যেনো বাঁচতেও পারবে না। নির্ঝর ও অধরার সম্পর্ক যখন গভীর হতে গভীরতম তখন নির্ঝর অধরাকে একান্তে পেতে চান। একদিন নির্ঝর অধরাকে তার মনের কথা বললে অধরা বৃদ্ধার বাড়ির বাইরে গিয়ে অপেক্ষা করার কথা বলে। তার পরই হবে দুজনের…..।
যথাসময়ে বৃদ্ধা তার বাড়ির বাইরে গেলেন, বৃদ্ধার রুমে অধরার কাছে নির্ঝর পরম তৃপ্তির বাসনায় হাজির হলেন। তখন ছিল গভীর রাত। দুজনে অন্ধকার রুমে একেবারে পাশাপাশি অবস্থান করে। ঠিক মাঝ রাতে দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে নতুন পূর্ণিমার চাঁদের আলোতে নির্ঝর দেখতে পেলো এটা আসলে অধরা নয়, এটা মিসেস সেতারা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা। নির্ঝর অবাক হয়ে গেলো। আবার চাঁদের আলো নিভে যাওয়ার পর মনে হয় এ যেনো মিসেস সেতারা এবং তার স্বামী মেজর আন্দালিভ । আসলে তারা কারা? নাকি তারা অধরা ও নির্ঝর? এক রহস্য ঘেরা সেই প্রশ্ন কী পাওয়া যাবে নাটকের শেষে?