দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যেহেতু ঝুলন্ত অবস্থায় খাবার খেতে হয় সে কারণে এই রেস্তোরাঁকে ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ বলা যেতেই পারে! আজ রয়েছে এমনই একটি ঝুলন্ত রেস্তোরাঁর গল্প!
যেহেতু ঝুলন্ত অবস্থায় খাবার খেতে হয় সে কারণে এই রেস্তোরাঁকে ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ বলা যেতেই পারে! আজ রয়েছে এমনই একটি ঝুলন্ত রেস্তোরাঁর গল্প!
আপনি হয়তো আপনার এই জীবনে অনেক রেস্তোরাঁয় পছন্দের খাবার খেয়েছেন, তবে কখনও খেয়েছেন ঝুলন্ত রেস্তোরাঁয়? সত্যিই অন্যরকম এক রেস্তোরাঁ, যেখানে ঝুলন্ত অবস্থায় আপনাকে খাবার খেতে হবে!
আমরা সবাই জানি আধুনিক এই ইন্টারনেটের যুগে রেস্তোরাঁয় খাওয়া- দাওয়া নতুন কোনো বিষয় নয়। ভালোমন্দ খেতে ইচ্ছা করলেই এখন বেশিরভাগ মানুষ ভিড় জমান রেস্তোরাঁতে।
এই বিশেষ রেস্তোরাঁর নাম ‘ফ্লাই ডাইনিং’ রেস্তোরাঁ। নয়ডার সেক্টর ৩৮-এর এই রেস্তোরাঁটিতে কিন্তু হেঁটে ঢোকা যাবে না। কারণ এই রেস্তোরাঁর বিশেষত্ব হলো- এই রেস্তোরাঁটি মাটি হতে প্রায় ১৬০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত।
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, এই রেস্তোরাঁতে ক্রেনের সাহায্যে ঝুলছে ২৪ আসনবিশিষ্ট একটি টেবিল! তার আশপাশে চেয়ারে বসে জমিয়ে খাবার খেতে পারেন আপনি নিজেও।
টেবিলের ঠিক মাঝের অংশেই চলাফেরা করছেন ওয়েটার ও রেস্তোরাঁর অন্যান্য কর্মীরা। খাওয়া- দাওয়ার জন্য খাদ্য রসিকরা সময় পাবেন ৪০ মিনিট করে।
জানা গেছে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে এই রেস্তোরাঁটি। শুধু গর্ভবতী এবং শিশুরা এই রেস্তোরাঁয় ঢুকতে পারবেন না। নিরাপত্তার জন্যই এই ব্যবস্থাটি রাখা হয়েছে। নানা পদের খাবারের পাশাপাশি এই রেস্তোরাঁয় বাড়তি পাওনা হলো অ্যাডভেঞ্চার। কারণ এমন শূন্যে ভেসে খাবার খেতে আলাদা একটা অনুভূতি হবে আপনার মধ্যে যা কখনও কোথাও পাওয়া যাবে না।
এবার নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছা করছে কোন ব্যক্তি এমন একটি অভিনব রেস্তোরাঁ তৈরি করলেন। আমাদের পার্শ্ববতী দেশ ভারতের নিখিল কুমার নামে জনৈক ব্যক্তি এই হোটেলটি বানিয়েছেন। দুবাইতে গিয়ে প্রথম এমন একটি রেস্তোরাঁ দেখেন তিনি। মনে মনে ঠিক করেন যে দেশে ফিরে তিনিও এমন রেস্তোরাঁ তৈরি করবেন। যা ভাবা তাই কাজ। দেশে ফিরেই এমন একটি রেস্তোরাঁ বানানো শুরু করলেন এবং তিনি সফলও হলেন। এখন তার এই রেস্তোরাঁয় প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসছেন আর এই ব্যকিক্রমি অনুভূতি শেয়ার করছেন। সত্যিই ধন্য ঝুলন্ত রেস্তোরাঁ এবং তার প্রতিষ্ঠাতা!