দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণের ভাবধন এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করেন গীতা কালে নামে জনৈক নারী। সম্প্রতি তার একটি ভিজিটিং কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যে কারণে রাতারাতি বিখ্যাত তিনি!
ভারতের মহারাষ্ট্রের পুণের ভাবধন এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করেন গীতা কালে নামে জনৈক নারী। সম্প্রতি তার একটি ভিজিটিং কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যে কারণে রাতারাতি বিখ্যাত তিনি!
ভিজিটিং কার্ডের ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তারপরই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গেছেন ‘ঘর কাম মসি ইন ভাবধন’। গীতার ইন্টারনেট সেনসেশন হওয়ার পেছনে অবদান রয়েছে ধনশ্রী শিন্ড নামে এক তরুণী।
ভাইরাল হওয়া সেই কার্ডে লেখা রয়েছে গীতার নাম এবং মোবাইল নম্বর। তার নীচে লেখা রয়েছে কাজের বিবরণ এবং প্রতিমাসে সেই কাজের রেটও। যেমন ঝাড়ু-পোছা ও কাপড় ধোয়ার মতো কাজের জন্য প্রতি মাসে দিতে হবে ৮০০ টাকা। রুটি বানানোর জন্য গীতা নেন মাসে এক হাজার টাকা। তাছাড়া অন্যান্য গৃহস্থালীর কাজও করতে প্রস্তুত রয়েছেন কাজের বুয়া গীতা।
সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক খবরে জানা গেছে, ওই তরুণী ধনশ্রী শিন্ডের বাড়িতেই কাজ করেন গীতা। একদিন অফিস থেকে ফিরে ধনশ্রী দেখেন মনমরা হয়ে বসে রয়েছেন গীতা। কারণ জানতে চাইলে গীতা জানান, একটি বাড়ির কাজ করে তার চলে গেছে। সে কারণে মাসে ৪ হাজার টাকা রোজগার কমেও গেছে তার। সেই কথা শুনে নিজের ব্রান্ডিং স্কিলকে কাজে লাগিয়ে ভিজিটিং কার্ডের নকশা বানিয়ে দেন ধনশ্রী শিল্ড নিজেই। ১০০টি কার্ডও ছাপিয়ে আনেন তার জন্য। তার আবাসনের নিরাপত্তারক্ষীর সহায়তায় ভাবধন এলাকায় ছড়িয়ে দেন সেই কার্ডটি।
জানা গেছে, ছবি-সহ এই ঘটনার কথা সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পোস্টের শেয়ার করেছেন অস্মিতা জাভেড়কর নামে একজন। তারপরই ভাইরাল হয়েছে ওই পোস্টটি। কার্ডের ছবি ভাইরাল হতেই ফোনের বন্যায় ভেসে যাচ্ছেন কাজের বুয়া গীতা। পুণে ছাড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত হতে কাজের জন্য একের পর এক ফোন আসছে গীতার কাছে। গীতাকে এই রকম সহৃদয় সাহায্যের জন্য ধনশ্রীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তারা মনে করেন একজন অসহায় মানুষের পাশে এভাবে দাঁড়িয়ে ধনশ্রী এক মানবিক দৃষ্টান্ত রেখেছেন।