দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এমন কথা শুনলে অবাক হবেন সেটিই স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ কানের ভেতরে কোনো কিছু থাকলে সেই ব্যক্তি সুস্থ্য থাকতে পারেন না। তবে এমন এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে যার কানের মধ্যে দিব্যি বাসা বেঁধেছে আরশোলা! এমন ঘটনা দেখে চিকিৎসরা তো রীতিমতো বিস্মিত! কীভাবে এটি সম্ভব? কোনো মানুষের কানের মধ্যে এমনিভাবে আরশোলা বাসা বাঁধলো অথচ তিনি কীভাবে এখনও জীবিত রয়েছেন?
সত্যিই এমন কথা শুনলে অবাক হবেন সেটিই স্বাভাবিক ঘটনা। কারণ কানের ভেতরে কোনো কিছু থাকলে সেই ব্যক্তি সুস্থ্য থাকতে পারেন না। তবে এমন এক ব্যক্তির খোঁজ পাওয়া গেছে যার কানের মধ্যে দিব্যি বাসা বেঁধেছে আরশোলা! এমন ঘটনা দেখে চিকিৎসরা তো রীতিমতো বিস্মিত! কীভাবে এটি সম্ভব? কোনো মানুষের কানের মধ্যে এমনিভাবে আরশোলা বাসা বাঁধলো অথচ তিনি কীভাবে এখনও জীবিত রয়েছেন?
২৪ বছর বয়সী যুবক এলভি। সে চীনের বাসিন্দা। কিছু দিন ধরেই ওই ব্যক্তির ডান কানে প্রচণ্ড ব্যথা। সম্প্রতি এক রাতে সেই ব্যথা চরমে ওঠে তার। বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় তার পরিবারের লোকেরা টর্চ জ্বেলে দেখেন যে, এলভি-র কানের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বড়সড় আরশোলা!
এমন অবস্থায় কানের প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে সেই সময় তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হুইজহাউ শহরের সানহে হাসপাতালে। সেখানেই তাকে পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তাকে চিকিৎসা করতে গিয়েই চমকে ওঠেন তারা। তারা দেখলেন যে, এলভি-র কানের মধ্যে আরশোলার গোটা পরিবার অবস্থান করছে!
সানহে হাসপাতালের চিকিৎসক ঝং ইজিং সংবাদ মাধ্যমকে এই বিষয়ে বলেছেন, ‘‘কানে প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে আমাদের কাছে এসেছিল এলভি। কানের ভিতর থেকে আমরা একটি বড় আরশোলা ছাড়াও ১০টিরও বেশি বাচ্চা আরশোলা বের করেছি। কানের ভিতরে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছিল সেগুলো!’’
তবে আরশোলার পরিবার কতদিন ধরে ওই ব্যক্তির কানে বাসা বেঁধেছিল সেই বিষয়ে চিকিৎসকরা কিছু জানাতে পারেনি। তবে কী ভাবে এটি সম্ভব হয়েছে? এই বিষয়ে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন যে, ওই ব্যক্তি বিছানার পাশেই খাবারের প্যাকেট রেখে ঘুমিয়ে পড়তেন। সেই খাবার খেতে এসেই আরশোলারা ঢুকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।