দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের গুরুত্ব এক অপরিসীম। বিশেষ করে কেও যদি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে রক্ত দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। তবে ইচ্ছা করলেই যে কেও যে কোনো রক্ত দিতে পারে না। কারণ রক্তদাতা এবং রক্ত গৃহীতার গ্রুপে অবশ্যই মিল থাকতে হবে।
মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্তের গুরুত্ব এক অপরিসীম। বিশেষ করে কেও যদি সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়, তাহলে রক্ত দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। তবে ইচ্ছা করলেই যে কেও যে কোনো রক্ত দিতে পারে না। কারণ রক্তদাতা এবং রক্ত গৃহীতার গ্রুপে অবশ্যই মিল থাকতে হবে।
শুধু তাই নয়, এ ছাড়াও রক্তে বিভিন্ন ক্ষতিকর ভাইরাস থাকতে পারে বলেও যে কেনো রক্ষ গ্রহণ করা সম্ভব হয় না। তাই রক্ত পরীক্ষার না করে সেটি অন্যের শরীরে দেওয়া যায় না।
যাদের শরীরে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত রয়েছে (যেমন: ও নেগেটিভ (O-), এবি নেগেটিভ (AB-), বি নেগেটিভ (B-)। বিপদের সময় তাদের ওইসব রক্তের প্রয়োজন পড়লে তা খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আমাদের।
‘আমেরিকান রেড ক্রস’ জানিয়েছেন, যে গ্রুপের রক্ত প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে মাত্র একজনের শরীরে থাকে। এসব রক্তের গ্রুপকে ‘বিরল’ রক্ত বলা হয়ে থাকে। ও নেগেটিভ (O-) হলো তেমনই একটি ‘বিরল’ রক্তের গ্রুপ। তবে এমন একটি রক্তের গ্রুপ রয়েছে, যা প্রতি ৬০ লাখ জনের মধ্যে মাত্র একজনের শরীরে রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের ধারণা মতে, এটিই হলো বিশ্বের সবথেকে ‘বিরলতম’ গ্রুপের রক্ত। রক্তের এই গ্রুপটিকে বলা হয়ে থাকে ‘গোল্ডেন ব্লাড’। চিকিৎসকদের কাছে এটি একটি ‘আরএইচ-নাল’ নামেও পরিচিত।
১৯৬১ সালে প্রথম ‘আরএইচ-নাল’ গ্রুপের রক্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। এই রক্তের আরএইচ সিস্টেমে ৬১ অ্যান্টিজেনের কোনো অস্তিত্ব ছিল না। বিগত ৫৮ বছরে বিশ্বে মাত্র ৪৩ জন মানুষের মধ্যে এই গোল্ডেন ব্লাডের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
এই ৪৩ জনের মধ্যে ৯ জন নিয়মিত রক্তদান করে থাকেন। এই ধরনের রক্ত বিরল হওয়ার কারণেই এই গ্রুপটির নাম দেওয়া হয়েছে গোল্ডেন ব্লাড। বিশেষজ্ঞদের ধারণা মতে, যাদের শরীরে এই গ্রুপের রক্ত রয়েছে, তারা যে কোনো গ্রুপের মানুষকে রক্ত দিতে পারবেন। তবে তারা সবার থেকে রক্ত নিতে পারেন না।