দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জলবায়ু পরিবর্তন এবং প্রাণ ও প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী আন্দোলন সৃষ্টি করেছেন সেই সুইডেনের স্কুলছাত্রী গ্রেটা থানবার্গ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাইম ম্যাগাজিনের ২০১৯ সালের ‘পারসন অফ দ্য ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছন। ১৯২৭ সাল থেকে শুরু হওয়া টাইম ম্যাগাজিনের এই নির্বাচনে এবারই প্রথম ১৬ বছর বয়সী কেও জয়ী হলেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় অবিলম্বে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্দোলন শুরু করেন সুইডেনের স্কুলছাত্রী গ্রেটা থানবার্গ। ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে স্কুল বাদ দিয়ে টানা তিন সপ্তাহ সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে বসে থাকেন গ্রেটা থানবার্গ। এর পেছনে মূল উদ্দেশ্যই ছিল জলবায়ু সংকটের বিরুদ্ধে কেনো যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না, সেজন্যই এই প্রতিবাদ। তিনি তার কর্মকাণ্ডের কথা ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারে পোস্ট করেন এবং তখন থেকেই ক্রমান্বয়ে জনমত তৈরি করতে থাকেন তিনি।
তারপর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ঘোষণা দেন যে প্রতি শুক্রবার তিনি সুইডিশ পার্লামেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবেন, যতোদিন পর্যন্ত না তারা তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার ব্যাপার অঙ্গীকার দেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে #FridaysForFuture ট্রেন্ডের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে বিক্ষোভের আয়োজনও করেন গ্রেটা। যা প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় ১৫ মার্চ। এই দিন তার ডাকে সাড়া দিয়ে জার্মানি, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ ১০৫টি দেশের ১,৬৫৯টি স্থানে শিক্ষার্থীরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ এবং মিছিল করে।
গ্রেটা থানবার্গকে টাইমের পারসন অফ দ্য ইয়ার ঘোষণার সময় গ্রেটা স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থান করছিলেন। সেখানে গত ২ ডিসেম্বর হতে চলছে জাতিসংঘ আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন। যা ১৩ ডিসেম্বর শেষ হবে।