দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘটনাটি আমাদের দেশের নয় ভারতের। দেশটির গড়াই কাটোয়ার বাসিন্দা বামাপদ। বয়স ৫৫ হয়েছে। অদ্ভুত স্বভাবের জন্য গোটা শহরের লোকই এক ডাকে চেনেন বামাপদকে। কারণ তিনি ৩০ বছর ধরে কাঁচা সবজি খান!
তার খাদ্য তালিকার প্রথমেই রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শাক- সবজি। তবে সবই কাঁচা। তার ব্রেকফ্রাস্ট থেকে ডিনার সবই চলে হরেক রকম কাঁচা সবজি দিয়েই।
ভারতের সংবাদ মাধ্যম এই সময় এর এক খবরে জানা যায়, পেশায় সবজি বিক্রেতা বামাপদ সকালের দিকে আলুই বেশি খান। দু’তিনটে আলুতেই ব্রেকফাস্ট হয়ে যায় তার। বেলা বাড়লে অল্প কিছুটা কুমড়ো কিংবা লাউ খেয়ে নেন তিনি। দুপুরের পূর্বে বাঁধাকপি খান বেশ খানিকটা। তারপর যখন যা হাতের কাছে পান তাই খেয়ে ফেলেন। সন্ধ্যার দিকে খুব বেশি খান না তিনি। লাউ, কুমড়া, কপি অল্প করে খেয়ে নেন তিনি। সব মিলিয়ে সারাদিনে অন্ততপক্ষে ৯ থেকে ১০ কেজি কাঁচা সবজি খাওয়া হয়ে যায় বলে জানিয়েছেন বামাপদ।
বামাপদর খাওয়া নিয়ে মোটেও ভাবতে হয় না স্ত্রী শেফালিকে। তিনি বলেছেন যে, রান্না করা খাবারের দিকে একেবারেই ঝোঁক নেই তার স্বামীর। কাঁচা লাউ কিংবা কাঁচা কুমড়াই বেশি প্রিয় বামাপদর। যে কারণে নিশ্চিন্ত থাকেন শেফালি গড়াই।
তিনি আরও বলেছেন যে, রান্না করে দিলে খায় বটে, তবে রান্না করা সবজি ততোই ভালোবাসে না তার স্বামী। সারাদিন কাঁচা কাঁচাই সব সবজি খেয়ে নেয়। খাওয়া নিয়ে ওর কোনো রকম ধানাইপানাই নেই। খিদে পেলেই হাতের সামনে যে কোনও সবজি ধরিয়ে দিলেই হলো। কাঁচাই খেয়ে নেয় তিনি।
কাঁচা সবজি খাওয়ার অভ্যাস সম্পর্কে বামাপদ সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, কিনতে এসে কোনো ক্রেতা সবজি সম্পর্কে খারাপ বললে, তখন আমি খেয়ে দেখাতাম। খেতে ভালোই লাগতো আমার। সেই থেকেই এই অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে। এখন কাঁচা সবজি খেতেই বেশি ভালোবাসি। প্রায় ৩০ বছর ধরে এভাবে কাঁচা সবজি খেয়ে আসছি। রান্না খাবারও আমি খাই, তবে খুব কম। রান্নার থেকে কাঁচার স্বাদই অনেক বেশি।
‘কাঁচা সবজি খেলে শরীরও ভালো থাকে। গত ৩০ বছরে একবারও ডাক্তারের কাছে যেতে হয়নি তাকে’- এ কথাও বলেছেন কাঁচা সবজি খাদক বামাপদ। তবে গরমকালে বেশ সমস্যায় পড়ে যান বামাপদ। কারণ শীতে হরেক রকম সবজি পাওয়া গেলেও গরমকালে শুধু এক দুটি সবজি বার বার খেতে হয় তাকে।